চৌর্যবৃত্তি আর সাংবাদিকতা কি এক প্রশ্ন কাদেরের

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ১:৩৪ অপরাহ্ণ, মে ২০, ২০২১

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সাংবাদিকদের স্বার্থ বিরোধী কোন কিছুই করবে না সরকার। শেখ হাসিনা সরকার সাংবাদিক বান্ধব সরকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের যে কোন বিষয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত সহানুভূতিশীল।

আজ বৃহস্পতিবার ( ২০ মে) বিকেলে তাঁর সরকারি বাসভবনে ব্রিফিং কালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি সাংবাদিকদের আবারও ধৈর্য ধরার আহবান জানিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি আস্থা রাখুন।

সাংবাদিকদের সুখে দুখে এবং গঠনমূলক সাংবাদিকতার পথ অনুসরণে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে আছেন বলেও জানান ওবায়দুল কাদের। সাংবাদিকগণ পেশাগত কারণে বিভিন্ন ভাবে তথ্য সংগ্রহ করেন, তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী অপ্রকাশযোগ্য তথ্য ছাড়া অন্যান্য তথ্য সংগ্রহের সুযোগ রয়েছে সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া অনুসরণ করে, কিন্তু অভিজ্ঞ সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহে যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছেন তা সঠিক পদ্ধতি কিনা তা ভেবে দেখার বিষয় বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

গতকাল বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়,সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক এক পর্যায়ে নিজের ভুল স্বীকার করে মুখে মুচলেকা দেওয়ার কথাও বলেছেন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, চৌর্যবৃত্তি আর সাংবাদিকতাকে আমরা কি এক করে ফেলতে পারি?

তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত সত্য বের হওয়ার আগেই তার পক্ষে বা বিপক্ষে আন্দোলন কতটা যৌক্তিক, সেটাও সাংবাদিক বন্ধুদের ভেবে দেখার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, একজন অন্যায় করলে ঢালাও ভাবে সবাইতো সেজন্য দায়ী নন।

সচিবালয়ে প্রতিদিন সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন এবং তথ্য সংগ্রহ করেন কিন্তু কেউ এভাবে লুকিয়ে ফাইলের ছবি তোলেন না বা নথি নিয়ে যায় না, সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক নিজেও ভুল স্বীকার করছেন। আত্মস্বীকৃত একজনের ভুলের জন্য সাংবাদিক বন্ধুদের এমন অবস্থান গ্রহণ কেন? আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রাখেন।