রাজবাড়ীতে গণপিটুনিতে নিহতের ঘটনা সাম্প্রদায়িক হামলা নয় Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২৫ রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকার ঘটনায় বুধবার রাতে গণপিটুনি দিয়ে একজনের মৃত্যু হওয়ার ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও কিছু সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। সরকারি সূত্রের অনুযায়ী, প্রাথমিক তদন্ত ও পুলিশের তথ্যের ভিত্তিতে এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই সাম্প্রদায়িক হামলার সম্পর্ক নেই। অন্তর্বর্তী সরকারের একজন মুখপাত্র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, রাজবাড়ীর পাংশা থানাধীন এলাকায় ঘটে যাওয়া এই দুঃখজনক হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখা হচ্ছে। তারা আরও উল্লেখ করেন, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ও সংবাদমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে যা সম্পূর্ণ অপ্রামাণিত ও ভুল। প্রাথমিক তদন্ত ও পুলিশি প্রতিবেদনের ভিত্তিতে জানানো হয়, এই ঘটনাটি কোনো ধর্মীয় বৈষম্য বা সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা থেকে উদ্ভূত নয়। বরং এটি চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে সংঘটিত হয়েছে। নিহত ব্যক্তি অমৃত মন্ডল, যিনি সম্রাট নামে পরিচিত, তিনি একটি চাঁদাবাজি মামলার আসামি ছিলেন এবং তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গুরুতর অপরাধের অভিযোগ রুজু হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার সময় তিনি এলাকার অভ্যন্তরে উপস্থিত ছিলেন এবং বিক্ষুব্ধ স্থানীয় জনতার সঙ্গে সংঘর্ষে পড়ে প্রাণ হারান। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, তারা ঘটনাস্থল থেকে তার সহযোগী সেলিমকে একটি বিদেশি পিস্তল ও একটি পাইপগানসহ আটক করেছে। ইতোমধ্যে এই ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা রুজু হয়েছে। সরকার এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনার নিন্দা জানিয়েছে এবং স্পষ্ট করে বলেছে, আইনবহির্ভূত কোন ধরনের কর্মকাণ্ড, গণপিটুনি বা সহিংসতা সরকার কখনোই সমর্থন করে না। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে। একইসঙ্গে উল্লেখ করা হয় যে, কিছু মহল নিহত ব্যক্তির ধর্মীয় পরিচয়কে কেন্দ্র করে ঘটনাটিকে সাম্প্রদায়িক হামলা হিসেবে উপস্থাপনের অপচেষ্টা চালাচ্ছে, যা সম্পূর্ণ অমূলক ও নিছক ষড়যন্ত্র। এই ধরনের অপপ্রচারে সামাজিক সম্প্রীতি harm বা ক্ষতি হতে পারে এবং পরিস্থিতি আরও অবনতি ঘটতে পারে। সরকার সকলের কাছে দাবি জানিয়েছে, দায়িত্বশীলতা নিয়ে আচরণ করতে এবং বিভ্রান্তিকর, উসকানিমূলক ও সাম্প্রদায়িক বক্তব্য প্রচারে বিরত থাকতে। পাশাপাশি, তারা উল্লেখ করেছে যে, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় সরকার দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ—যেকোনো ধরণের অপপ্রচেষ্টা কঠোর হাতে দমন করা হবে। SHARES সারাদেশ বিষয়: