২০১৬ সাল থেকে অ্যালকোহলে আসক্ত পরীমণি

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ১:৪৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ৫, ২০২১

চিত্র নায়িকা পরীমণি ২০১৬ সাল থেকে মাদক সেবন করতেন। এমনকি ভয়ঙ্কর মাদক এলএসডি ও আইসও সেবন করতেন তিনি। তার বাসায় একটি মিনি বারও রয়েছে। তিনি বাসায় নিয়মিত মদের পার্টি করতেন। চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ পরীমণির বাসায় এসব মাদক সাপ্লাই (সরবরাহ) করতেন।

পরীমণি ও রাজসহ চারজনকে গ্রেফতারের পর বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বিকেলে র‌্যাব সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‌্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

খন্দকার আল মঈন বলেন, গ্রেফতারকৃত শামসুর নাহার স্মৃতি ওরফে পরীমণিকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, পিরোজপুরের একটি কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় তিনি চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। তিনি ২০১৪ সালে চিত্র জগতে অন্তর্ভুক্ত হন। এ পর্যন্ত তিনি ৩০টি সিনেমা এবং ৫ থেকে ৭টি টিভিসিতে অভিনয় করছেন। পিরোজপুর থেকে ঢাকায় এসে চিত্র জগতে একটি দৃঢ় অবস্থান তৈরিতে গ্রেফতারকৃত মো. নজরুল ইসলাম রাজের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। পরীমণি ২০১৬ সাল থেকে অ্যালকোহলে আসক্ত হয়ে পড়েন। তার ফ্ল্যাট থেকে বিভিন্ন ব্রান্ডের বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়েছে। মাত্রাতিরিক্ত সেবনের চাহিদা মেটাতে বাসায় একটি মিনি বার স্থাপন করেন। মিনি বার থাকায় তার ফ্ল্যাটে নিয়মিত পার্টির আয়োজন হতো। রাজসহ আরও অনেকে তার বাসায় বিভিন্ন প্রকার মাদক সরবরাহ করতো।

নজরুল ইসলাম ওরফে রাজকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তিনি ১৯৮৯ সালে খুলনার একটি মাদরাসা থেকে দাখিল পাস করেন। পরে ঢাকায় গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। পরে বিভিন্ন ব্যবসা ও ঠিকাদারি কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি শোবিজ জগতে তার অনুপ্রবেশ ঘটে। বিভিন্ন সিনেমা/নাটকে অভিনয়ের পাশাপাশি প্রযোজনায় যুক্ত হন। রাজ মাল্টিমিডিয়া নামে তার একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ব্যবসায়িক ও চিত্র জগতে যোগাযোগ থাকায় তিনি অতিরিক্ত অর্থ লাভের আশায় ক্ষমতার অপব্যবহার করেন।

র‌্যাবের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, রাজ গ্রেফতারকৃত শরিফুল হাসান ওরফে মিশু হাসান এবং মাসুদুল ইসলাম ওরফে জিসানের সহযোগিতায় ১০ থেকে ১২ জনের একটি সিন্ডিকেট তৈরি করেন। সিন্ডিকেটটি রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকা বিশেষ করে গুলশান, বারিধারা, বনানীসহ বিভিন্ন এলাকায় পার্টি বা ডিজে পার্টি নামে মাদক সেবনসহ নানাবিধ অনৈতিক কর্মকাণ্ড করতো। পার্টিতে অংশগ্রহণকারীদের নিকট থেকে সদস্যরা বিপুল পরিমাণ অর্থ নিতো। প্রতিটি পার্টিতে ১৫ থেকে ২০ জন অংশগ্রহণ করতো। এছাড়া সিন্ডিকেটটি বিদেশেও প্লেজার ট্রিপের আয়োজন করতো।

এর আগে বুধবার সুনির্দিষ্ট কিছু অভিযোগের ভিত্তিতে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। এ সময় বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। এরপর প্রযোজক ও অভিনেতা নজরুল ইসলাম রাজের বাসা থেকেও বিপুল পরিমাণ মাদক, সিসার সরঞ্জাম ও বিকৃত যৌনাচরণের উপকরণ জব্দ করা হয়।