প্রতিটি উপজেলা ফায়ার স্টেশনের কাজ শেষ পর্যায়ে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ১২:২৮ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২১

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

রবিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুর ফায়ার সার্ভিস ট্রেনিং কমপ্লেক্সে ৪১তম ব্যাচের অফিসার্স ফাউন্ডেশন কোর্সের সমাপনী কুচকাওয়াজে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান তিনি।

কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন।

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বিসিএস নন-ক্যাডারের সুপারিশ অনুযায়ী ফায়ার সার্ভিস অধিদফতরের যোগ দেওয়া স্টেশন অফিসারসহ মোট ৪৪ জন অফিসারের প্রশিক্ষণ সমাপ্তি শেষে তাদের পদায়নের আগে এই সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হলো। দীর্ঘ ১১ মাসের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের সব দুর্যোগে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য যোগ্য করে গড়ে তোলা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে ৪৪ জন অফিসারের মধ্য থেকে শারীরিক যোগ্যতা, বুদ্ধিমত্তা, শিষ্টাচার, শৃঙ্খলা, আচার-ব্যবহার, লিখিত পরীক্ষা, ব্যবহারিক এবং মৌখিক পরীক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর দক্ষতার ভিত্তিতে তিন জনকে চৌকস নির্বাচিত করা হয়। ১ম চৌকস নির্বাচিত হন শেখ তরিকুল ইসলাম, ২য় চৌকস হন খন্দকার মিরাজুল ও ৩য় চৌকস নির্বাচিত হন সিল্টন আহমেদ। নির্বাচিত চৌকস অফিসারদের পদক পরিয়ে দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের প্রতিটি উপজেলায় ন্যূনতম একটি করে ফায়ার স্টেশন স্থাপনের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের ক্ষমতা গ্রহণের আগে দেশে ফায়ার স্টেশন ছিল মাত্র ২০৪টি। এখন সারা দেশে চালু ফায়ার স্টেশন ৪৫৬টি। চলমান প্রকল্পগুলো শেষ হলে ফায়ার স্টেশনের সংখ্যা হবে ৫৬৫টি ও জনবলের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াবে ১৬ হাজার।

তিনি বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী এ জনবলকে ২৫ হাজারে উন্নীত করার জন্য ফায়ার সার্ভিসের সাংগঠনিক কাঠামো পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেছি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এখন আর আগের দমকল বাহিনী নয়। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে সব দিক থেকে সমৃদ্ধ করার মাধ্যমে এর সক্ষমতা বৃদ্ধি করেছি। এ প্রতিষ্ঠানটি এখন বহুমাতৃক সেবাকাজে নিয়োজিত। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরকে ঢেলে সাজানোর জন্য নানামুখী কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশও প্রতিনিয়ত দুর্যোগ-দুর্ঘটনার চিত্র পরিবর্তিত হচ্ছে। দুর্যোগ-দুর্ঘটনা আমাদের সামনে নতুন নতুন চরিত্রে আবির্ভূত হচ্ছে। প্রকৃতিগতভাবে দুর্যোগপ্রবণ এ দেশে আপনাদের সবসময় দুর্যোগ প্রশমনের জন্য যেমন কাজ করতে হবে। তেমনি উদ্ভাবনী বিবেচনা শক্তি দিয়ে সংঘটিত দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতিও সীমিত রাখতে হবে।