রাজাকারের তালিকার পুরো দায় মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৫:২৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯

রাজাকারদের তালিকা নিয়ে যে বিতর্ক উঠেছে তার পুরো দায় মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদাজ্জুমান খান কামাল।

তিনি বলেছেন, ‘এটি কোনও রাজাকারের তালিকায় নয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে রাজাকার, আলবদর, আল শামসের তালিকা দেওয়া হয়নি; দালাল আইনে অভিযুক্তদের তালিকা দেয়া হয়েছে। নোট দেয়া সত্ত্বেও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সবার নাম প্রকাশ করায় এর পুরো দায় ওই মন্ত্রণালয়ের।’

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সামনে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রকাশিত ‘রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও স্বাধীনতা বিরোধীদের’ নামের তালিকা নিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

তিনি বলেছেন, ‘দালাল আইনে যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল তাদের নামের তালিকা আমরা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছিলাম। মন্ত্রী তালিকা চেয়েছেন, আমরা দিয়েছি। কিন্তু তা প্রকাশ করবেন কিনা তা আমাদের বলেননি।’

ঠিকমতো যাচাইবাছাই না করেই এই তালিকা প্রকাশ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর ‘রাজনৈতিক স্টান্টবাজি’ কিনা, সাংবাদিকদের এই প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘তা আমি বলবো না। আমি বিশ্বাস করি তিনি হয়তো ভালো কিছু করার জন্যই এই তালিকাটি চেয়েছিলেন।’

এই তালিকা করার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে ৬০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেটা কোথায় খরচ হয়েছে- প্রশ্ন করা হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না। কারণ তিনি একজন সিনিয়র মন্ত্রী।’

এই ধরনের বিতর্কিত তালিকা তৈরি করা ‘সাবোট্যাজ’ কিনা, জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সেটা খতিয়ে দেখা হবে। আমার মন্ত্রণালয় যে কাজ করেছে, তাতে ভুল হতে পারে। তবে এ ধরনের একটি বড় কাজে সেই ভুল কতখানি সহনীয় তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি করা হবে।’

উল্লেখ্য, গত রবিবার ১০ হাজার ৭৮৯ জন রাজাকারের তালিকা প্রকাশ করেছে সরকার। তালিকা প্রকাশের পরই নানা বিতর্ক ছড়াচ্ছে। দেশব্যাপী তুমুল সমালোচনা চলছে।

সেই তালিকায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কৌঁসুলি গোলাম আরিফ টিপু, গ্রেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা তপন কুমার চক্রবর্ত্তী, আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ মজিবুল হকসহ অনেক ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতাদের নাম উঠে এসেছে।