জামিন না দেয়া নজিরবিহীন: খালেদা জিয়া

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৫:২৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৬, ২০১৯

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় নিজের জামিন না হওয়ার আদেশকে নজিরবিহীন বলে উল্লেখ্য করেছেন কারাবন্দি ও অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিনি বলেছেন, ‘জামিন মানে তো মুক্তি না। জামিন না দেয়া নজিরবিহীন।’

সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমএমইউ) তাকে দেখতে যান স্বজনরা। এসময় স্বজনদের কাছে তিনি এসব কথা বলেন।

বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে  সাক্ষাৎ শেষে বিএসএমএমইউ চত্বরে সাংবাদিকদের একথা জানান সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বোন সেলিমা ইসলাম।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থা নিয়ে আদালতে পেশ করা মেডিকেল বোর্ডের রিপোর্টের সঙ্গে তার শারীরিক অবস্থার বাস্তবে কোনও মিল নেই বলেও অভিযোগ করেন সেলিমা ইসলাম।

সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার শরীর খুবই খারাপ। এখন তাঁর পেটের ব্যথা। সে হাঁটাচলা করতে পারছেন না। ঠিকমত খেতেও পারছেন না। ডাক্তার ঠিকমত ওষুধ দিচ্ছে না। ঠিকমত চিকিৎসা হচ্ছে না। এখানে কীভাবে সে বাঁচবে?’

তিনি বলেন, ‘ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে আসতেছে না। ডায়াবেটিসের সুগার ১২ নিচে কখনোই আসেনি। ১৪ থেকে ১৫ পর্যন্ত সব সময় থাকে। আজ ১৪ আছে।’

প্যারোলে মুক্তির ব্যাপারে খালেদা জিয়া কিছু বলেছেন নাকি সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা বলেন, ‘এই ব্যাপারে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে কোনও কথা হয়নি। তারা খালেদ জিয়াকে তো জামিন দিলেন না। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাকে জামিন দিতে পারতো। জামিন মানে তো মুক্তি না। জামিন না দেয়াকে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।’

এর আগে বেলা ৩টার দিকে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে আসেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। পরিবারের সদস্যরা হলেন- বেগম খালেদা জিয়ার মেজ বোন সেলিমা ইসলাম, তার স্বামী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, তার ছেলে অভিক ইস্কান্দার।

হাসপাতালের বাইরে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এবং শায়রুল কবির খান উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর স্বজনদের দেখা করার কথা ছিল। অনিবার্য কারণে কারা কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক সাক্ষাতের অনুমতি বাতিল করে। সর্বশেষ গত ১৩ নভেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিএসএমএমইউতে তাঁর স্বজনরা সাক্ষাৎ করেন।