তীব্র শীতের কারণে দেশের মানুষ গৃহবন্দি, ঠাকুরগাঁওয়ে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৫ দেশের বিভিন্ন অংশে বর্তমানে তীব্র শীতের কবলে পড়েছে মানুষ। সূর্যের দেখা মেলছে না দিনজুড়ে, ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাস জনজীবন kiosk মধ্যে ফেলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা কিশোরগঞ্জের নিকলীতে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে, যা শীতের তীব্রতা প্রদর্শন করছে। একই সময়ে দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও তাপমাত্রা অনেকটা কমে গেছে, এবং ঘন কুয়াশার চাদরে ঢাকা রয়েছে বিভিন্ন এলাকা। বিস্তারিত তথ্য পাঠিয়েছেন প্রতিনিধি ও বিভিন্ন জেলার প্রশাসন। ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিনিধি জানান, এই জেলার অবস্থা বেশ ভয়াবহ, দুদিন ধরে সূর্য দেখা যায়নি, ফলে শীতের তীব্রতাও বাড়ছে। তাপমাত্রা সকাল বেলায় রেকর্ড করা হয়েছে ১০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা উপশমের সংকেত নয়। এই শীতের কারণে সাধারণ মানুষ অনেকটাই বিপর্যস্ত। দিনমজুর, নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষজন কাজের সুযোগ না পেয়ে অতিরিক্ত কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। অনেকেরই গরম কাপড় বা আগুন জ্বালিয়ে থাকতে হচ্ছে, অন্যদিকে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। চিকিৎসকরা শিশু ও বয়স্কদের বিশেষ সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, কৃষকদের জন্যও এই শীতজনিত ক্ষতি এড়াতে প্রয়োজনীয় সতর্কতা নেওয়া জরুরি। বোরো আবাদ ও শাক-সবজি রক্ষার্থে নিয়মিত সেচ, খেত পরিচ্ছন্নতা এবং প্রয়োজনে খড় বা পলিথিন দিয়ে ঢাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কয়েকদূর কিশোরগঞ্জেও আবহাওয়া পরিস্থিতির চেয়ে গড়ে তাপমাত্রা কমেছে, যা পুরো শহরজুড়ে শীতের তীব্রতাকে বাড়িয়ে তুলেছে। নিকলীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জানিয়েছে, গত সোমবার সকালে এখানকার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে, যা গত বছরও দুদিন ধরে একই তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল। এই শীতের প্রকোপে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। সাধারণ মানুষ বাইরে বের হতে চাইছেন না, কারণ ঠাণ্ডা বাতাস এবং শীতজনিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। উপকূলীয় এলাকাসহ অন্যান্য জেলাতেও শীতের দাপট অব্যাহত রয়েছে। ভোলা এবং তার আশেপাশের জেলার মানুষজন এখন গৃহবন্দি হয়ে পড়েছেন। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতের কারণে দিনের তাপমাত্রা কমে গেছে, যার ফলে স্বাভাবিক জনজীবন খুবই সংকুচিত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে জেলাগুলির নদী বা সড়কপথে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়েছে; ফেরি ও লঞ্চ চলাচলেও সমস্যা দেখা দিয়েছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ভোলা জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সোমবার সকাল ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এর আগে রোববার ছিল ১৪.৪ ডিগ্রি। দীর্ঘ দিন ধরে শীতের দাপট বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ এখন গরম পোশাক পরছেন, কিন্তু দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ভোগান্তি বাড়ছে। সব মিলিয়ে, দেশজুড়ে তীব্র শীত ও ঠান্ডাজনিত দুর্ভোগ বাড়ছে। কম্বিনেশনের কারণে দিনদিন মানুষ গৃহবন্দি হয়ে পড়ছে, আর এই শীতের কারণে স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা যেন আরো বেশি সতর্ক থাকেন, তা নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগও সতর্কতা জারি করেছে। SHARES সারাদেশ বিষয়: