৬ মাসের বেশি সময় ধরে পরিকল্পনা করে ওসমান হাদি হত্যার ঘটনার পিছনে জটিল ষড়যন্ত্র Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৮, ২০২৫ ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান বিন হাদি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নতুন তথ্য উঠে আসছে। তদন্তকারীরা মনে করেন, এই হত্যার জন্য ছয় মাসেরও বেশি সময় পরিকল্পনা করে প্রকাশ্যভাবে গুলি করে এই জরা ঘটনা ঘটানো হয়েছে, যার পেছনে একাধিক দেশ-বিদেশের গ্রুপের সমন্বয় রয়েছে। তদন্ত সূত্র জানায়, মূল সন্দেহভাজন শুটার ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ ২১ জুলাই সিঙ্গাপুরে যান এবং কয়েকজন পলাতক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই বৈঠকের পরে, পাঁচ দিন ভেতরেই অর্থাৎ ২৬ জুলাই, তারা দেশে ফিরে আসে এবং গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, এই সময়ের মধ্যে পরিকল্পনা চূড়ান্ত হয়ে যায়। সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে তিনি নিজেকে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচয় দেন ও মালয়েশিয়া সীমান্তে গিয়ে বৈঠক করেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, এই ভ্রমণের সমস্ত তথ্য তারা সংগ্রহ করছে এবং তদন্ত প্রক্রিয়া চলছে। তবে, এখনই বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। তদন্তের সময়, জানা গেছে, দেশে ফির shortly পরই ফয়সাল তার স্ত্রী সাহেদা পারভীনের কাছে ইঙ্গিত দেন যে, সামনে এমন পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে যেখানে তার জন্য জীবন কঠিন হয়ে উঠবে। তিনি পরিবারের জন্য প্রায় ৩০ লাখ টাকার একটি ব্যাংক হিসাবও দেখান। একই ধরনের তথ্য এসেছে তার প্রেমিকা মারিয়া আক্তারের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে। হত্যার আগের রাতে, ফয়সাল, মোটরসাইকেল চালক আলমগীর ও মারিয়া সাভারের মধুমতি মডেল টাউনে 시간을 কাটিয়েছেন। ফয়সাল তখন মারিয়াকে বলেছিলেন, ‘আগামীকাল এমন কিছু হবে, যা দেশ কাঁপিয়ে দেবে।’ তবে মারিয়া তার এই অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তিনি এই ঘটনায় কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিলেন না। হত্যার পরে, ফয়সাল ও আলমগীরকে ভারতে পালিয়ে যেতে সহায়তা করে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মিরপুরের সাবেক কাউন্সিলর তাইজুল ইসলাম চৌধুরী (বাপ্পী)। তার ভগ্নিপতি আমিনুল ইসলামও এই কাজে সহযোগিতা করেন। পুলিশ তাদের চিহ্নিত করে। দালাল ফিলিপ স্নাল সীমান্তরৈখিক পাথ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সহায়তা করেন। এরপর, তাদের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডের রাতে হালুয়াঘাট সীমান্ত দিয়ে ফয়সাল-আলমগীর ভারতে প্রবেশ করেন। এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত ডিবি ও র্যাব মোট ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গত ১২ ডিসেম্বর, রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে মাথায় গুলি করে হাদি হত্যার ঘটনা ঘটে। প্রথমে ঢামেক হাসপাতালে এবং পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বরে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়, যেখানে ১৮ ডিসেম্বর তিনি পরলোকগমন করেন। এর পরে, ওসমান হাদির মরদেহ দেশে এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে দাফন করা হয়। প্রতিবেদনের সামগ্রিক ধরন অনুযায়ী, এই ঘটনাটি শুধু একটি হত্যাকাণ্ড নয়, এটি একটি জটিল সামাজিক ও রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অংশ। বিভিন্ন সূত্রের তথ্য বলছে, পরিকল্পনাকারীরা এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে রাজনৈতিক কারার জন্য একটি শক্তিশালী বার্তা পাঠানোর চেষ্টা করছে। অভিযুক্তদের ব্যাপারে তদন্ত চলমান থাকায়, ভবিষ্যতে এই ঘটনার আরও জটিলতা বেরিয়ে আসার আশঙ্কা রয়েছে। SHARES সারাদেশ বিষয়: