প্রকৃতি ও পর্বতার সৌন্দর্য উপভোগে পর্যটকদের ঢল Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫ বান্দরবান এখন পর্যটকদের মুখর এক মুখপাত্র। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের বড়দিনের ছুটি ও সাপ্তাহিক বন্ধের কারণে এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে আসছে অসংখ্য পর্যটক। জেলার মেঘলা, নীলাচল, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরি, তমাতুঙ্গীসহ সব দর্শনীয় স্থানে এখন পর্যটকের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাহাড়ের আঞ্চলিক ঝর্ণা, নদী আর অটুট প্রাকৃতিক রূপ দেখে সবাই মুগ্ধ হচ্ছেন। এই সময়ের সাজানো পরিবেশের মধ্যে পরিবার, বন্ধুবান্ধবরা ব styleি পাহাড়ের গর্ত, ঝরনা ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে খাংখাওয়াচ্ছেন। পর্যটকরা যান্ত্রিক জীবনের দৌড়ঝাঁপ ভুলে শান্তিপূর্ণ প্রকৃ্তির কোলে দুলছে। বান্দরবানের মেঘলা, নীলাচল, প্রান্তিক লেক, শৈলপ্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরি ও নীল দিগন্তের দর্শনীয় স্থানগুলো এই মুহূর্তে পর্যটকদের পদচরণে মুখর। চট্টগ্রাম থেকে আসা পর্যটক মো. রায়হান বলেন, “বান্দরবানের প্রকৃতি অসাধারণ। পাহাড়, মেঘ আর প্রকৃতির মধ্যে থাকতেই যেন সুন্দর এক স্বপ্ন দেখছি।” ঢাকা থেকে আসা পর্যটক জেসমীন বলেন, “বড়দিনের তিন দিনের ছুটিতে এখানে এসেছি। এই জেলা এত সুন্দর, বুঝতেই পারিনি। পাহাড়ের গঠন দেখে মুগ্ধ, ঝরনা দেখেও মুগ্ধ হচ্ছি। একইসাথে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বন্ধুত্ব ও সম্প্রীতি দেখে আমি নতুন শিক্ষা নিচ্ছি।” এই ভ্রমণে বান্দরবানের হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টগুলো আজকাল তরময় বুকিংয়ে ভর্তি। আবাসিক হোটেল হিলটনের ম্যানেজার তপন বড়ুয়া জানান, ২৫ ডিসেম্বরের জন্য ৭০ শতাংশ রুম বুকিং সম্পন্ন, শুক্র ও শনিবারের মধ্যে পুরোপুরি বুকিং হওয়ার আশায় আছেন। অন্যদিকে, আরণ্যর হোটেলের ম্যানেজার মো. জিয়া বলছেন, বড়দিনের ছুটিসহ সপ্তাহের অন্য দুটি দিনের ছুটিতে অভূতপূর্ব পর্যটক সমাগম হয়েছে, বিশ্বস্ত রুম বুকিং পুরোপুরি। এদিকে, বান্দরবান জেলা হোটেল-রিসোর্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. জসীম উদ্দিন বলেন, “তিন দিনের বন্ধের সময় ব্যাপক পর্যটক আসছে। পর্যটকদের স্বচ্ছ সেবা দিতে আমরা সজাগ আছি।” পর্যটকদের নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সক্রিয় ভূমিকা রাখছে। জেলার বিভিন্ন পয়েন্টে বিশেষ সতর্কতা ও নিরাপত্তা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান ইনচার্জ মো. মাহাবুবুর রহমান। তিনি বলেন, “প্রতিটি দর্শনীয় স্পটে ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা মোতায়েন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সবসময় সতর্ক, যাতে পর্যটকরা নির্বিঘ্নে উপভোগ করতে পারেন।” খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কোকোনাথ ত্রিপুরা বলেন, “তিন দিনের ছুটি ও নতুন বছরকে কেন্দ্র করে এখানে উৎসবের আমেজ। পর্যটকেরা এসে আনন্দের স্বাদ পাচ্ছেন।” জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, জেলার মোট ৪৫টি হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউস ভয়াবহ বুকিংয়ের জন্য প্রস্তুত। এখানকার জনপ্রিয় স্থানগুলো হলো আলুটিলা গুহা, রিছাং ঝরনা, দেবতার পুকুর, হর্টিকালচার পার্ক, তৈদুছড়া ঝরনা, বিডিআর স্মৃতিসৌধ, মায়াবিনী লেক ও শান্তিপুর অরণ্য কুঠি। হোটেল গাইরিংয়ের ব্যবস্থাপক প্রান্ত ত্রিপুরা জানান, সব কক্ষ আগামী রোববার পর্যন্ত পুরোপুরি বুকিং হয়ে গেছে। অন্যদিকে, হোটেল অরণ্য বিলাসের পরিচালক আহম্মদ রশিদ বলেন, শনিবারের আগ পর্যন্ত তাদের সকল কক্ষ অগোচর। পর্যটকদের ভিড়ে বিভিন্ন দোকান ও রেস্তোরাঁয়ও ব্যস্ত সময় পার করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। স্বপ্নচূড়া রেস্টুরাঁর স্বত্বাধিকারী নেম্রা মারমা বলেন, “ছুটির সময়ের জন্য বিভিন্ন ক্রেতা বাড়ছে, ভিড় সামলাতে ঘাম ঝরছে।” নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার ছায়েম মির্জা আজম বলেন, “পর্যটকের নিরাপত্তা সবার অগ্রাধিকার। ২৪ घंटे পুলিশ টহলে থাকছে, মনোযোগ দিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে।” SHARES সারাদেশ বিষয়: