রাজশাহীতে মাসব্যাপী কুটিরশিল্প ও তাঁতবস্ত্র মেলা উদ্বোধন

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫

রাজশাহীতে মাসব্যাপী ১৮তম বস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলার শুভ সূচনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) নগরীর কেন্দ্রীয় বোটানিক্যাল গার্ডেন ও চিড়িয়াখানার উত্তর পাশের মাঠে এ মেলার উদ্বোধন করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে ফিতা কাটা ও বেলুন উড়িয়ে উৎসবের মধ্য দিয়ে সকলের উপস্থিতি‍তে জনসম্মুখে আনুষ্ঠানিকভাবে এর উদ্বোধন সম্পন্ন হয়। এই আয়োজনে অংশ নেয় উইমেন এন্টারপ্রিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ওয়েব)-এর ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন, যা সামনের দিনগুলোতেও চলবে। এ মেলার মাধ্যমে নারীদের স্বতন্ত্র উদ্যোগে উৎসাহ যোগানো, স্থানীয় শিল্পপ্রোৎসাহন এবং pottery, textiles, গার্মেন্টস, খাবার, উপহার সামগ্রীসহ নানা ধরনের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের পণ্য প্রদর্শন সম্ভব হচ্ছে। মেলা চলবে আগামী ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। অনুষ্ঠান সভাপতিত্ব করেন ওয়েব রাজশাহী শাখার সভাপতি মোসা. আঞ্জুমান আরা পারভীন লিপি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিল্পপতি হাসেন আলী, দৈনিক লিয়াকত আলী, আকবারুল হাসান মিল্লাত, রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সাবেক পরিচালক জিয়া উদ্দিন আহমেদ, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জামাত খান ও বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির রাজশাহী শাখার সভাপতি মরিয়ম বেগম। এছাড়াও কুমার বাড়ির বিভিন্ন সদস্য, নারী উদ্যোক্তা ও সংগঠনের অন্যান্য নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিরা অংশ নেন। আয়োজকরা জানায়, এ মেলায় বিশেষভাবে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ৪৫টি স্টল সাজানো হয়েছে, যেখানে বেত ও বাঁশের সামগ্রী, তাঁতবস্ত্র, গার্মেন্টস পণ্য, ক্রোকারিজ, খাদ্য, গিফট আইটেমসহ নানা ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পের পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। দেশীয় ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক নকশার পণ্য দর্শনার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ১০টা পর্যন্ত এই মেলা সবাই জন্য খোলা থাকবে। শিল্প বিশেষজ্ঞেরা বলেন, এই মেলা উদ্যোক্তাদের সরাসরি ক্রেতার কাছে পৌঁছানোর সুযোগ করে দেয়, ফলে তারা ন্যায্য মূল্য পান এবং কুটিরশিল্পের কারিগররা উৎসাহিত হন। দেশের ঐতিহ্যবাহী পণ্য ও নতুন ডিজাইনের পণ্যাদির সমন্বয়ে স্থানীয় সংস্কৃতি ও অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলে প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। দর্শনার্থীরা মনে করছেন, এক স্থান থেকে কেনাকাটায় সুবিধা হচ্ছে, যে কারণে দেশের হস্তশিল্পের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে, এবং আধুনিক ডিজাইনগুলো নতুন প্রজন্মকেও আকৃষ্ট করছে। মাসব্যাপী এ অঞ্চলের সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে এই তাঁতবস্ত্র ও কুটিরশিল্প মেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।