প্রত্যাশিত বাংলাদেশ গড়তে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চান তারেক রহমান

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৬, ২০২৫

দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে মাতৃভূমিতে ফিরতে পেরে প্রিয় দেশবাসীকে এক নতুন এবং নিরাপদ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে লাখো উপস্থিত জনতার সঙ্গে তিনি নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং দেশের উন্নয়নের রূপরেখা তুলে ধরেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, ধর্ম, বর্ণ বা রাজনৈতিক মতাদর্শ যাই হোক না কেন, দেশের প্রত্যেক নাগরিকের কল্যাণে তিনি একটি প্রত্যাশিত এবং নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে চান। শান্তি প্রতিষ্ঠায় অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে তিনি মহান আল্লাহর রহমত কামনা করেন এবং জানান, ভবিষ্যতে রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর ন্যায়পরায়ণতার আদর্শকে অবলম্বন করবেন তাঁর দল।  

বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষের জন্য তার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। তবে এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রপন্থী মানুষের সক্রিয় সহযোগিতা ও সমর্থন অপরিহার্য। তিনি বর্তমান অস্থিরতা এবং বিভিন্ন আধিপত্যবাদী শক্তির ষড়যন্ত্রের কথাও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সাহসী সৈনিক শরিফ ওসমান হাদির নির্মম হত্যাকাণ্ডকে তিনি ষড়যন্ত্রের অংশ বলে অভিহিত করেন। এই সংকটময় পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাকর্মী এবং সাধারণ মানুষকে ধৈর্য্য ধারণের আহ্বান জানিয়ে তরুণ প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গড়ায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে দায়িত্ব গ্রহণের তাগিদ দেন।

তারেক রহমান আরো বলেন, তিনি মানবিক মূল্যবোধে ভরা একটি বৈষম্যহীন রাষ্ট্রের কথাও ভাবছেন। যেখানে পাহাড় কিংবা সমতল—সবার নাগরিক অধিকার সমান। সেই সাথে তিনি এমন একটি বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, যেখানে নারী ও শিশু সেদিনেই নিরাপদে চলাফেরা করতে পারবে দিন-রাত। বিগত দশকের দুঃশাসনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন, এ সময়টিতে অসংখ্য মানুষ গণতন্ত্রের জন্য জীবন দিয়েছন এবং শহীদ হয়েছেন। তাঁদের আত্মত্যাগকে তিনি মূল্যবান বলে উল্লেখ করে বলেন, তাঁদের কষ্ট বৃথা গেলো যাবে না। বক্তৃতার শেষ দিকে তিনি গুরুতর অসুস্থ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় দেশবাসীর কাছে দোয়া চান।

এই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ, মহানগর নেতা এবং শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত থেকে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান। দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর এই সরাসরি ভাষণটি উপস্থিত জনতাকে যেমন আবেগগ্রস্থ করে তোলে, তেমনি ভবিষ্যতের রাজনৈতিক লড়াইয়ে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করে। সংবর্ধনা শেষে তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে গিয়ে তাঁর অসুস্থ মাকে দেখতে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছেন।