এনসিপি নেতা তারেক রহমানকে সমর্থন জানিয়ে পদত্যাগ

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০২৫

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দীর্ঘ ১৭ বছর নির্বাসিত জীবন শেষে দেশে ফিরে আসার ঐতিহাসিক মুহূর্তে, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকে এক গুরুত্বপূর্ণ দলীয় নেতা তার নিজস্ব স্বাধীন সিদ্ধান্তে পদত্যাগ করেছেন। এই সুখবরটি তিনি আজ বৃহস্পতি বার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি বিশেষ বার্তার মাধ্যমে জানিয়ে দেন। পাশাপাশি, তিনি এ বছর অনুষ্ঠিত আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৬ (বাশখালী) আসন থেকে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন না বলেও ঘোষণা করেছেন। উল্লেখ্য, মীর আরশাদুল হক এনসিপির কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারী গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকাবস্থায় চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রধান সমন্বয়কারী ও পরিবেশ সেলের প্রধানসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন।

তার পদত্যাগের কারণ হিসেবে তিনি বর্তমান এনসিপির রাজনৈতিক পথপ্রদর্শন নিয়ে গভীর হতাশা প্রকাশ করেছেন। তাঁর বক্তব্যে তিনি উল্লেখ করেছেন যে, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থান ও নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা নিয়ে দলটি শুরু হলেও, গত ১০ মাসের অভিজ্ঞতা এই দেখিয়েছে যে, দলের নেতারা সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে ব্যর্থ। তিনি মনে করেন, দলের বর্তমান নেতৃত্ব ভুল পথে হাঁটছে এবং এর ফলে তাঁর নিজস্ব রাজনৈতিক আদর্শের সাথে সাংঘর্ষিক হয়ে পড়েছে। এর জন্যই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এনসিপির সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করবেন।

তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রশংসা করে এই তরুণ নেতা বলেন, দেশের বর্তমান সংকটকালীন সময়ে নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে তারেক রহমানের নেতৃত্বই একমাত্র যে রাজনীতিকে স্থিতিশীল ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করতে পারে। তিনি লক্ষ্য করেছেন যে, অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো ধর্ম বা সাময়িক জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হলেও, তারেক রহমান দেশের মানুষের মূল সমস্যাগুলো—স্বাস্থ্য, শিক্ষা, পরিবেশ এবং কর্মসংস্থান— সমাধানে স্পষ্ট, নতুন ও আধুনিক রূপকল্প (ক্লিয়ার ভিশন) উপস্থাপন করছেন। এই দূরদর্শী ও বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গিই তাঁকে বিএনপির প্রতি প্রকৃতিপ্রেমী ও আশাবাদী করে তুলেছে।

এছাড়াও, তিনি দেশের তরুণ প্রজন্মের জন্য অন্তর থেকে আহ্বান জানিয়েছেন যে, কোন মতনই হুজুগ বা পপুলিজমের পিছু না হেঁটে, দেশের স্বার্থ এবং ভবিষ্যৎ মঙ্গলের কথা বিবেচনা করে, তারেক রহমানের জনকল্যাণমূলক ভিশন বাস্তবায়নে নিজের সমর্থন জোরদার করতে হবে। এই দিনটিকে তিনি বাংলাদেশের রাজনীতির জন্য এক নতুন আশীর্বাদ হিসেবে অভিহিত করেছেন। নিজের ব্যক্তিগত শুভকামনা প্রকাশ করলেও, তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, রাজনৈতিকভাবে তিনি এখন থেকে তারেক রহমানের ভিশনের বাস্তবায়নেই নিজের সমর্থন অব্যাহত রাখবেন।

বিশ্লেষকদের মতে, নির্বাচনের মুখে দাঁড়িয়ে এমন একজন দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতার এই পদত্যাগ ও বিএনপির প্রতি প্রকাশ্য সমর্থন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে, যা ভবিষ্যত রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।