থাই-কম্বোডিয়া প্রধানমন্ত্রীর ফোন যোগাযোগ, শান্তি প্রতিষ্ঠার আহ্বান

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৪৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫

মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম সম্প্রতি থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। তিনি দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষের শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। আনাদোলু এজেন্সির খবর অনুযায়ী, আগামী সোমবার আসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের আগে রোববার (২১ ডিসেম্বর) এ যোগাযোগ হয়। আনোয়ার বলেন, ‘আমি গুরুত্ব দিয়ে বলেছি যে, কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সংলাপ, প্রজ্ঞা ও পারস্পারিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সমাধান খোঁজা জরুরি, যাতে উত্তেজনা কমে আসে এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।’ ২০১৯ সালের অক্টোবরে কুয়ালালামপুরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপস্থিতিতে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর হয়। তবে সম্প্রতি সীমান্তবর্তী একটি প্রদেশে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে থাই সৈন্যরা গুরুতর আহত হওয়ার পর সেই চুক্তি স্থগিত করে থাইল্যান্ড। এরপর থেকেই নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়। এই সংঘাতের কারণে উদ্বেগে পড়েছেন সীমান্তবর্তী এলাকাকে বাসিন্দারা। ফলে বেশ কিছু স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ব্যাংকক ও নমপেনে। শিক্ষার্থীরা যেখানে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারছেন না, সেখানে তাদের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা বেড়েছে। তারা দ্রুত সাময়িক শান্তি ফিরে আসার জন্য প্রার্থনা করছে এবং আবারও প্রিয় সহপাঠীদের সঙ্গে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আশায় বুক বেঁধেছেন। পাশাপাশি, পান্না ত্রিভুজ নামে এক বিতর্কিত এলাকাকে কেন্দ্র করে ১১৮ বছরের পুরোনো দ্বন্দ্বে লিপ্ত এই দুই দেশ। এই ইস্যুতে মাঝেমধ্যে সৈন্যদের মধ্যে সংঘর্ষও হয়। আন্তর্জাতিক নানা পক্ষ, যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়া, ব্যাংকক ও নমপেনের আলোচনায় বসালেও কোনও স্থায়ী সমাধানে পৌঁছানো যায়নি। গত জুলাইয়ে এই সীমান্ত সংঘাতে প্রাণহানি ঘটে, এর পর একটি মধ্যস্থতায় দু’দেশের সেনারা যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়। কিন্তু দেড় মাসের মধ্যে আবার নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে প্রাণহানি ও বাস্তুচ্যুত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ, এবং এর প্রভাব পড়েছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর উপরও। শুক্রবার, নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে থাইল্যান্ডের সাতটি প্রদেশের প্রায় এক হাজার স্কুল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। শিক্ষার্থীরা দ্রুত এই সংঘাতের সমাধান চাইছেন এবং স্কুলে ফিরে একসঙ্গে পড়াশোনা করার আশার বেঁচে থাকছে এঁদের মন, ভেতরে তারা উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছেন শান্তি ফিরতে।