হিলি স্থলবন্দরে রপ্তানি ও আমদানিতে বৃদ্ধির ধারা

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৫

দিল্লি ও গঙ্গাযুক্ত দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরটি এখন নতুন করে বলিষ্ঠতা লাভ করছে। চলতি বছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে মোট ৪২৯ ট্রাকে ১০ হাজার ৭৬২ মেট্রিক টন দেশের পণ্য ভারতকে রপ্তানি করা হয়েছে। এর মধ্যে দেশের বিভিন্ন কোম্পানির বিস্কুট, আসবাবপত্র, প্লাস্টিকের পাইপসহ নানা ধরনের পণ্য রয়েছে। এর পাশাপাশি, রপ্তানি উচ্চতার পাশাপাশি আমদানিও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।

রপ্তানি ও আমদানি বৃদ্ধির ফলে কর্মচঞ্চলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে শ্রমিক মহলে। হিলি কাস্টমসের সূত্র জানায়, এই অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সময়ের মধ্যে এই বন্দর দিয়ে রপ্তানি হয়েছে ১০ হাজার ৭৬২ মেট্রিক টনের দেশি পণ্য, যার জন্য সরকারের রাজস্ব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২৩ কোটি ৭ লাখ টাকা। একই সময়ে ভারত থেকে আমদানির পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪৯৩ মেট্রিক টন, যার মাধ্যমে দেশের কোষাগারে আসে ২৬৫ কোটি টাকা।

গত অর্থবছরে হিলি বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি ছিল খুবই সামান্য বা শূন্যের কাছে, কিন্তু বর্তমানে দেশের বিভিন্ন প্রকার পণ্য বিশাল পরিমাণে ভারতে রপ্তানি হচ্ছে। পাশাপাশি, ভারতের বাজার থেকে এই বন্দর দিয়ে আমদানিও বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বন্দরের কর্মব্যাস্ততাও বেড়েছে, শ্রমিকের কাজের চাপ গুরুত্ব পেয়েছে।

হিলি স্থলবন্দরের একজন আমদানিকারক নূর ইসলাম বলেন, “ভারত থেকে পণ্য আমদানি ও রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধির ফলে বন্দরে কাজের চাহিদা ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছর দিনে গড়ে ১০ থেকে ১৫টি ভারতে চলমান ট্রাক বন্দরে প্রবেশ করত। তবে চলতি বছর, বিশেষ করে ১২ আগস্ট থেকে, এই সংখ্যা বেড়েছে এবং এখন দিনে ১৫০ থেকে ১৬০ পণ্যবাহী ট্রাক আসছে। আমরা সবাই এই বন্দরকে কেন্দ্র করে জীবিকার সাথে যুক্ত।”

হিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান বলেন, “আমরা রপ্তানি বাড়ানোর জন্য কাজ করছি। বর্তমানে দেশি পণ্য ভারতে রপ্তানি বৃদ্ধি পেয়েছে, যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সাড়া ফেলেছে। ভবিষ্যতেও আমাদের লক্ষ্য আরও বেশি দেশি পণ্য রপ্তানি করে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করা।”

বিশেষজ্ঞরা জানান, এই বন্দরে পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার অর্জন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক অতিশ কুমার শ্যানাল বলেন, “রপ্তানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ট্রাকপ্রতি ওজন ফি ১৪৬ টাকা এবং এন্ট্রি ফি ১৬৮ টাকা ধার্য্য করা হয়েছে। এসব অর্থ দিয়ে বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনা সহজ হয়েছে।”

অন্যদিকে, হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আব্দুল আজিজ জানান, “বর্তমানে এই বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি স্বাভাবিকভাবে চলছে। বিশেষ করে, পচনশীল সামগ্রী যেমন আদা, রসুন, পেঁয়াজ, মরিচ ও মটরশুঁটির আমদানি উল্লেখযোগ্য, যা দ্রুততার সাথে সম্পন্ন হচ্ছে। এর ফলে দেশের অর্থনীতি আরও সমৃদ্ধ হচ্ছে এবং বন্দরটি এখন অনেক বেশি কার্যকরী।”