হিলি স্থলবন্দরে রপ্তানি ও আমদানিতে বৃদ্ধি চোখে পড়ার মতো

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০২৫

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে চলছে ব্যাপক রপ্তানি ও আমদানির প্রক্রিয়া। এই বন্দর দিয়ে চলতি বছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৪২৯টি ট্রাকের মাধ্যমে ১০ হাজার ৭৬২ মেট্রিক টন দেশি পণ্য ভারতে রপ্তানি করা হয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে মূলত বিস্কুট, আসবাবপত্র, প্লাস্টিকের পাইপসহ বিভিন্ন শিল্পজাত পণ্য রয়েছে, যা দেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। একই সময়ে, আমদানি হয়েছে ৯ হাজার ৩৮৪ ট্রাকের মাধ্যমে ৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪৯৩ মেট্রিক টন পণ্য। এর ফলে রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে ২২৩ কোটি ৭ লাখ টাকার বেশি। পেছনে ঠেকা বছরের তুলনায় এ বছর রপ্তানি-আমদানির পরিমাণ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে, যা বন্দরকর্মী এবং ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছে।

হিলি কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ভারত থেকে ৮ হাজার ৪৮৭ ট্রাকের মাধ্যমে ২ লাখ ২৫ হাজার ৮৭৪ মেট্রিক টন পণ্য আমদানি করা হয়েছে, যার জন্য সরকার পেয়েছে ২৬৫ কোটি টাকার রাজস্ব। এই সময়ে ভারতীয় পণ্য আমদানির সংখ্যাও বৃদ্ধি পেয়েছে গত বছরের তুলনায়।

অতীতে হিলি বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানির প্রক্রিয়া খুবই কম বা শূন্যের কাছাকাছি থাকলেও বর্তমানে দেশীয় বিভিন্ন পণ্য এই বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি হচ্ছে। এতে করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও সহায়তা হচ্ছে। বন্দর পরিচালকদের মতে, চলমান এই ধারায় দেশের অর্থনীতি আরও শক্তিশালী হবে।

হিলি স্থল বন্দর সম্পর্কিত ব্যবসায়ীরা বলছেন, চলতি বছর থেকে পণ্যবাহী ট্রাকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে। প্রতি দিন এখন গড়ে ১৫০ থেকে ১৬০টি পণ্যবাহী ট্রাক ভারতে প্রবেশ করছে। বন্দরের উপর নির্ভরশীল শ্রমিকেরা বলছেন, বন্ধুর পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলে দেশের অর্থনীতির জন্য অনেকটাই উপকার হবে।

হিলি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান জানান, এই বন্দর দিয়ে যেসব দেশি পণ্য ভারতে যাচ্ছে, তা দেশের অর্থনীতিতে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার করছে। এর আগেও এই রপ্তানি অনেক কম ছিল, তবে বর্তমানে এর পরিমাণ বেড়েছে। ভবিষ্যতেও বেশি দেশি পণ্য রপ্তানি করার লক্ষ্যে কাজ করছে সবাই।

অন্যদিকে, হিলি পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক অতিশ কুমার শ্যানাল বলেন, এই বন্দর দিয়ে পণ্য রপ্তানি বেড়েছে। ভারতে পণ্যবাহী ট্রাকের অঙ্কে ওজন ফি ১৪৬ টাকা এবং এন্ট্রি ফি ১৬৮ টাকা নেওয়া হয়।

হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. আব্দুল আজিজ বলেন, স্বাভাবিকভাবেই এই বছর অন্যান্য বছরের তুলনায় রপ্তানি ও আমদানি বেড়েছে। বিশেষ করে ভারত থেকে কাঁচা পণ্য যেমন আদা, রসুন, কাঁচামরিচ, পেঁয়াজ ও মটরশুঁটি আমদানি হচ্ছে। এই পণ্যগুলো পচনশীল হওয়ায় দ্রুত কার্যক্রম সম্পন্ন করে থাকি, যাতে ব্যবসায়ীদের সুবিধা হয় এবং দেশের অর্থনীতি সচল থাকে।