র্যাবের চাঞ্চল্যকর তথ্য, দিপু দাসকে পিটিয়ে হত্যা: ধর্ম অবমাননার অভিযোগে গ্রেপ্তার ১০ Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২৫ ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে যুবক দিপু চন্দ্র দাসকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনাটির আগে তাকে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করে। তার কিছুক্ষণ পর উত্তেজিত জনতার হাতে তুলে দেওয়া হয় তাকে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক নাইমুল হাসান সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন। তিনি জানিয়েছেন, পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেডের ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর হোসেন (৩৮) সহ আরও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা হলেন কারখানার কোয়ালিটি ইনচার্জ মিরাজ হোসেন আকন (৪৬)। ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে গিয়ে র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, “ঘটনা ঘটেছিল ওই দিন বিকেল ৪টার সময়। ফ্যাক্টরির ফ্লোর ইনচার্জ দিপুকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করে। ইস্তফা দেওয়ার পর উত্তেজিত জনতার কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। কেন পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিতে পারেনি বা কেন পুলিশ তাদের কাউকে আটক করেনি, তা নিয়ে আমরা তদন্ত করছি।” নাইমুল হাসান আরও বলেন, “আমরা বারবার চেষ্টা করেছি, জানতে কাকে বলে বা কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। তবে কেউ স্পষ্ট বলতে পারেনি। আমাদের মনে হয়, পরিস্থিতি উত্তেজিত জনতা বা পূর্বের শত্রুতার ফলাফল হতে পারে। তবে এই হত্যাকাণ্ড আইনসম্মত নয়। মানুষ হত্যা, গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে দহনের মতো জঘন্য অপরাধগুলো সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোটেও গ্রহণ করে না।” তিনি আরও জানান, এই মামলা এখন থানায় তদন্তাধীন এবং র্যাব একটি ‘ছায়া-তদন্ত’ পরিচালনা করছে। এর মধ্যে, অন্য আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা হলেন— পুলিশের তথ্য অনুসারে তারেক হোসেন (১৯), লিমন সরকার, মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিঝুম উদ্দিন (২০), আজমল হাসান সগীর (২৬), শাহিন মিয়া (১৯) এবং মো. নাজমুল। এর মধ্যে তিনজন গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে এই সময়ে কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নয়, তবে অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য তদন্ত চলমান। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে ভালুকা উপজেলার একটি গ্রামে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাসকে গুরুতর পিটুনি দেওয়া হয়। আসামিরা তাকে মারধর করে এবং পরে তার দেহে আগুন ধরিয়ে দেয়। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় সঙ্কট সৃষ্টি হয়, ঢাকাসহ মহাসড়কে দুই ঘণ্টা অবরোধ চলে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং অর্ধদগ্ধ দেহ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। ঘটনার এক দিন পর, শুক্রবার বিকেলে দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ১৫০ জনের নামে অজ্ঞাত আসামী দিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। SHARES সারাদেশ বিষয়: