উৎপাদন শিল্পের প্রবৃদ্ধি বাড়াতে ভ্যাট ও কর কাঠামোকে যুক্তিসঙ্গত করার আহ্বান বিসিআইয়ের Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২৫ বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) বলেছেন, শিল্পের প্রবৃদ্ধি বাস্তবায়নের জন্য ভ্যাট ও কর কাঠামোকে আরেকটু যুক্তিসঙ্গত ও সমন্বিত করতে হবে। তাছাড়া, নতুন উদ্যোক্তা, স্টার্ট-আপ ও ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে সরকারকে আরও সক্রিয় সহায়তা দিতে হবে। এর মাধ্যমে দেশের উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে এবং ব্যবসায়িক পরিবেশ আরও কার্যকর ও ব্যবসাবান্ধব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন শিল্প প্রতিনিধিরা। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিসিআইয়ের ৩৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় এসব কথা জানানো হয়। সভার শুরুতেই সংগঠনের সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী (পারভেজ) সভাপতিত্ব করেন। এর আগে, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ ও তার আত্মার শান্তির জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সভায় মরহুম সদস্যদের স্মরণ করে তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও দোয়া জ্ঞাপন করা হয়, সেই সঙ্গে সম্প্রতি মৃত্যু বরনকারী প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক সভাপতি এটিএম ওয়াজিউল্লাহ ও সৈয়দ মঞ্জুর এলাহির বিদেহী আত্মার জন্য শোক প্রকাশ করা হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিসিআইয়ের নেতারা, যেমন ওবায়দুর রহমান, সাবেক সভাপতি শাহেদুল ইসলাম, বিসিএমইয়ের সভাপতি মইনুল ইসলাম, উত্তরা মোটর করপোরেশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, সহসভাপতি মো. ইউনুস, নুরুল হাসান মিয়া, শহিদুল হক, মো. জিয়াউদ্দিন প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন বিসিআইয়ের সদস্য ও পরিচালকরা। বিসিআইয়ের সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, আমি অত্যন্ত আনন্দিত যে, ব্যবসায়ী নেতাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি তথ্য পেয়েছি। আপনাদের সমর্থন ও সহযোগিতায় বিসিআই তার সদস্যদের স্বার্থ রক্ষা ও উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের একমাত্র জাতীয় শিল্প চেম্বার হিসেবে বিসিআই দেশের বিভিন্ন শিল্পের বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা দূর করার জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকে শিল্পখাতে নানা সমস্যা সমাধানে সরকারের বিভিন্ন দিকের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ চলমান। সভায় আরও বলা হয়, বর্তমানে ট্যাক্স ও ভ্যাট সংক্রান্ত সমস্যা সমূহ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, যার দ্রুত সমাধান প্রয়োজন। বিসিআই সংশ্লিষ্ট সবাই নিয়ে এই বিষয়গুলো দ্রুত মোকাবিলা করবে। উৎপাদনশীলতা আরও বাড়ানোর জন্য, বর্তমান শিল্পের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি ও টেকসই অগ্রগতি নিশ্চিত করতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহে মনোযোগ দিতে হবে। পাশাপাশি, উৎপাদনের কার্যকর সরবরাহ শৃঙ্খল রক্ষা ও সুসংহত পরিচালনার জন্য একটা সুদৃঢ় গণতান্ত্রিক পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। বৈষম্য কমাতে এবং কর্মসংস্থান বাড়াতে প্রয়োজন টেকসই ছোট ও মাঝারি শিল্প (এমএসএমই) উন্নয়ন ও ব্যবসার জন্য উপযুক্ত পরিবেশের সৃষ্টি। এছাড়া, শিল্প খাতে গবেষণা ও উদ্ভাবনে শিক্ষাবিদ, শিল্প প্রতিষ্ঠান ও সরকারের যৌথ উদ্যোগের প্রয়োজন রয়েছে। পণ্য টেস্টিং ও সার্টিফিকেশনের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের সুবিধা বৃদ্ধি করতে হবে। নতুন উদ্যোক্তা ও স্টার্ট-আপ গুলোর জন্য সরকারি সহযোগিতা আরও শক্তিশালী করতে হবে। অর্থাৎ, শিল্পের দ্রুত প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নের জন্য ভ্যাট ও কর কাঠামোকে যুক্তিসঙ্গত ও দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে সংশোধন করা জরুরি। এর পাশাপাশি, শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশের জন্য সকল Stakeholder এর সক্রিয় অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা আমাদের অগ্নিপরীক্ষা। SHARES অর্থনীতি বিষয়: