আজকের শুভপরিণতি: ১৮ বছর পর ফিরছেন তারেক রহমান, বগুড়ার ‘গ্রীন এস্টেট’ নতুন করে সাজানো হচ্ছে

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০২৫

দীর্ঘ ১৮ বছরের প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফেরার খবর শোনা মাত্রই বগুড়ার স্থানীয়রা উদ্দীপনায় উদ্বেলিত হয়ে পড়েছেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের এই প্রত্যাবর্তনে পুরো শহর জুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। তার এই ঐতিহাসিক ফেরার অংশ হিসেবে তার পৈত্রিক বাড়ি, বগুড়ার সুত্রাপুর রিয়াজ কাজী লেনে অবস্থিত ‘গ্রীন এস্টেট’ নামে পরিচিত বাড়িটি নতুন করে প্রস্তুত করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। দীর্ঘ দেড় যুগের নিষ্ক্রিয়তা ও অব্যবহার এর মধ্যে থাকার পর এখন এই তিনতলা ভবনটি আবারও প্রাণ ফিরে পেতে চলছে। বাড়ি নতুন করে সংস্কার, রঙের প্রলেপ দেওয়া, নষ্ট ও পুরনো আসবাবপত্রের মেরামত, এবং বৈদ্যুতিক ও স্যানিটারি লাইন সংস্কারের মাধ্যমে এটি চকচকে এবং বাসযোগ্য করে তোলা হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, ভবনের বাইরেও ও ভিতরেও নতুন করে রঙের প্রলেপ দেয়া হচ্ছে, যেন এই বাড়িটি আবার তার প্রাচীন সৌন্দর্য ফিরে পায়। এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু। তিনি জানাচ্ছেন, তারেক রহমান ফিরে এলে যেন নিজ ঘরেই সপরিবারে অবস্থান করতে পারেন, সেই জন্যই বাড়িটির উন্নতিসাধন ঘটানো হচ্ছে। এছাড়া, গভীর গুঞ্জন রয়েছে যে, বগুড়া-৬ আসনে তার নির্বাচন সম্ভাবনা রয়েছে, তাই এই বাড়িটিই হবে তার রাজনৈতিক কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র। দীর্ঘ ছোট আঙিনায় অব্যবহৃত থাকায় এই বাড়িটি এখন আবার প্রাণ ফিরে পাচ্ছে, যা দেখে স্থানীয় বাসিন্দারা আনন্দিত ও কৌতূহলী। স্থানীয় কর্মীরা বলছেন, ২০০৪ সাল থেকে এই বাড়ির দেখভালের দায়িত্বে থাকলেও গত ১৮ বছর কোনও বড় পরিবর্তন হয়নি। এখন ব্যাপক সংস্কার হওয়ায় এলাকাটি আবারও রাজনৈতিক চাঙ্গা হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা। মূলত প্রিয় নেতাকে স্বাগত জানাতে এবং দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এই পুনরাগমনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে বগুড়া জেলা বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখন চূড়ান্ত ব্যস্ত। এই সময়টিকে এক বিশাল ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে লক্ষ্য করে সবাই অপেক্ষায়।