ঢাকা জিগাতলার হোস্টেল থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় এনসিপি নেত্রীর মরদেহ উদ্ধার Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৯, ২০২৫ রাজধানীর জিগাতলার একটি ছাত্র হোস্টেল থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) এর এক নেত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছেন পুলিশ। নেত্রীর নাম জান্নাত আরা রুমি (৩০), তিনি ধানমন্ডি থানাধীন এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী ছিলেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালেই তার মরদেহ পাওয়া যায়। রুমি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার বাসিন্দা ও বাবার নাম জাকির হোসেন। এনসিপির কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব তারেক রেজা ফেসবুকে এক পোস্টে জানান, আওয়ামী লীগ কর্তৃক হুমকি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইবার বুলিংয়ের মুখে আত্মহত্যা করেছেন জান্নাত আরা রুমি। এই পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, এটি আত্মহত্যা নয়, বরং হত্যাকাণ্ড। হাজারীবাগ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান বলেন, রুমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। তিনি ওই ছাত্র হোস্টেলের একাকী থাকতেন। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। তদন্তে জানা যায়, দুপুরে তার পাশে থাকা দরজাটিতে ঢাকনা দিয়ে চাবি লাগানো ছিল। পরে পুলিশ দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে পাওয়া যায়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। উপপরিদর্শক মো. কামরুজ্জামান জানান, রুমি বাড়ি নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর বাসস্ট্যান্ডে। তিনি ধানমন্ডি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে নার্সিংয়ে পড়াশোনা করেছিলেন। এখন তিনি কোথায় কাজ করতেন বা বেকার ছিলেন কি-না, সেটা বলতে পারেননি। তার চাচাতো ভাই মেহেদী হাসান বলেন, রুমি জিগাতলার ছাত্রী হোস্টেলে থাকতেন। তার দুটি বিয়ে হয়েছিল, তবে দুটোই ভেঙে গেছে। দুই সংসারে একটি করে সন্তান রয়েছে, কিন্তু সন্তানগুলো বাবার কাছে থাকে। তিনি আরও জানান, শেষবারের মতো রুমী বুধবার রাতেই একা ছিলেন, কারণ তার রুমমেটরা বাইরে গিয়েছিলেন। রাতের খাবার খাওয়ার পরে রান্নাঘর থেকে দরজা খোলা ও আলো জ্বলতে দেখা যায়। পরে উনি দরজা খোলার সময় রুমীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। রুমীর পরিবার ও স্বজনরা জানান, পারিবারিক বা সামাজিক কারণে তিনি হতাশায় থাকতে পারেন। তারা বলেন, এই ঘটনার পেছনে কারণ অনুসন্ধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অবশ্যই তদন্তের আওতায় আনুক। অন্যদিকে, জান্নাত আরার মরদেহ উদ্ধার ঘটনায় সকাল সোয়া এগারোটার দিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারেক রেজা ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেজে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি জানান, গত মাসে শেখ হাসিনার রায়ের দিন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের জিয়ার কবর খোঁড়ার একটি রাজনৈতিক কার্যক্রমের জন্য এক আওয়ামী লীগ নেতা পিটিয়ে পুলিশে দিয়েছিলেন জান্নাত আরাকে। এরপর থেকেই আওয়ামী লীগ তার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাইবার বুলিং, হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দিচ্ছিল। সেই ঘটনার পর থেকে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। তারেক রেজা আরও বলেন, ‘আমরা এটি আত্মহত্যা মনে করি না। এটা হত্যাকাণ্ড। যারা আমার বোনের জীবন নষ্ট করেছে, তাদের শান্তিতে থাকতে দেবে না আমরা।’ SHARES জাতীয় বিষয়: