নরসিংদীর বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল ডরিন পাওয়ার

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১২, ২০২৫

জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এক বাংলাদেশি কোম্পানি, ডরিন পাওয়ার জেনারেশন অ্যান্ড সিস্টেমস লিমিটেড, এবার নরসিংদীতে অবস্থিত তাদের ২২ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সব স্থায়ী (নন-কারেন্ট) সম্পদ বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের পেছনে মূল কারণ হলো, বাংলাদেশ রুরাল ইলেকট্রিফিকেশন বোর্ডের (বিআরইবি) সাথে এই কেন্দ্রের ১৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ সরবরাহ চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া এবং বিআরইবি এই চুক্তি পুনঃনবায়নে আগ্রহী না হওয়া। ফলে কোম্পানিটি কেন্দ্রটি বন্ধ করার পাশাপাশি সম্পদ বিক্রির পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূত্র জানিয়েছে, এর আগেও ডরিন পাওয়ার একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিল। গত বছর, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) চুক্তি নবায়ন না করায়, কোম্পানিটি টাঙ্গাইল ও ফেনীতে অবস্থিত তাদের দুটি ২২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্রের স্থায়ী সম্পদ বিক্রি করে দিয়েছিল। এই ধারাবাহিকতায় এবার নরসিংদীর কেন্দ্রীয় কার্যক্রমও গুটিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি ২০২৫-২৬ অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) ডরিন পাওয়ারের ব্যবসায়িক পরিস্থিতিতে উল্লেখযোগ্য উন্নতি এসেছে। এ সময়ে শেয়ারপ্রতি সমন্বিত আয়ের (ইপিএস) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ টাকা ৮১ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ১ টাকা ৪৮ পয়সা। ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর শেষে, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে ৫৪ টাকা ২৪ পয়সা।

বিনিয়োগকারীদের জন্য কোম্পানিটি লভ্যাংশ প্রদানেও ধারাবাহিকতা দেখিয়ে আসছে। গত বছর, অর্থাৎ ২০২৪-২৫ হিসাব বছরে, শুধুমাত্র সাধারণ বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করে কোম্পানি। এই বছর, ইপিএস হয়েছে ৩ টাকা ১৯ পয়সা, যা আগে ছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা। এছাড়া, ২০২৩-২৪ এবং ২০২২-২৩ অর্থ বছরে যথাক্রমে ১০ ও ১১ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ প্রদান করা হয়েছে।

ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (সিআরআইএসএল) এর মূল্যায়নে, ডরিন পাওয়ারের দীর্ঘমেয়াদি ঋণমান রয়েছে ‘এ প্লাস’ এবং স্বল্পমেয়াদে ‘এসটি-থ্রি’। ২০০৮ সালে যাত্রা শুরু করা এই কোম্পানি ২০১৬ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমানে, কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ১৮১ কোটি ১১ লাখ ৯০ হাজার টাকা, এবং রিজার্ভে রয়েছে ৬৭২ কোটি ৭১ লাখ টাকা। কোম্পানির মোট শেয়ারটির ৬৬.৬১ শতাংশ উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে, ১৯.৪৩ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে এবং বাকি ১৩.৯৬ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে।