থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সীমান্তে আবার উত্তেজনা, গোলাগুলিতে আহত ২, লাখো মানুষ সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৪৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২৫ দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে সীমান্তের উত্তেজনা ফের বাড়ছে। গত রবিবার সি সা কেত প্রদেশের সীমান্তে দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে, যা যেন আবার যুদ্ধের আঁচ আনছে। এই সংঘর্ষে অন্তত দুজন থাই সেনা আহত হয়েছেন। থাই সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর সোয়া ২টার দিকে কম্বোডিয়ার সেনারা আচমকা থাইল্যান্ডের সীমান্ত লক্ষ্য করে গুলি চালায়। জবাবে থাই সেনারা পাল্টা গুলি ছোড়ে। এই অপ্রত্যাশিত গোলাগুলির ঘটনাApproximately ৩৫ মিনিট ধরে চলে, যা শেষ হয় দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে। এতে আহত হয়েছেন দুজন থাই সেনা; একজনের পায়ে এবং অন্যজনের বুকে গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সংঘাতের পরপরই নিরাপত্তার স্বার্থে চারটি প্রদেশ—বুরি রাম, সুরিন, সি সা কেত এবং উবন রাতচাথানির সীমান্ত এলাকায় হাজারো সাধারণ মানুষকে দ্রুত নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই সংঘাতের মূল কারণ হলো, থাইল্যান্ডের একটি অভিযোগের ভিত্তিতে। রোববারই থাইল্যান্ড অভিযোগ করে যে, কম্বোডিয়া গোপনে তাদের ভূখণ্ডের বিশাল এলাকাজুড়ে ল্যান্ডমাইন পুঁতে রেখেছে। এসব মাইন বিস্ফোরণে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন থাই ও চীনা নাগরিক আহত হয়েছেন। থাই সরকার এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য জাতিসংঘের কাছে দাবি জানিয়েছেন। এর কিছু মুহূর্তের মধ্যেই সীমান্তে উত্তেজনা বেড়ে যায়। এছাড়াও, গত জুলাই মাসে এই দুই দেশ দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চলমান যুদ্ধবিরতি ভেঙে নতুন করে সংঘর্ষে জড়ায়। সেই সংঘর্ষে টানা পাঁচ দিন রক্তক্ষয়ী লড়াই হয়, যেখানে দুই পক্ষের ৩২ জন নিহত এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও, রবিবারের এই ঘটনায় আবারো সীমান্তে অস্থিতিশীলতা ফিরে এসেছে। সূত্র: বিবিসি SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: