সাবেক মন্ত্রী-উপদেষ্টাসহ ১৭ জন ট্রাইব্যুনালে হাজির

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২৫

জুলাই-আগস্ট 2014 সালের আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগে বাংলাদেশের সরকারপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ১৭ জন সাবেক মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী এবং উপদেষ্টাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল সোয়া নয়টার দিকে কারাদণ্ডপ্রাপ্তদের কেরানীগঞ্জ ও কাশিমপুরসহ বিভিন্ন কারাগার থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে প্রিজনভ্যানে করে তাদের ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়। এরপর তাদের হাজতখানায় রাখা হয়।

বিচারকাজ পরিচালনা করছেন ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদার নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেল। এদিন আসামিরা বিচারকের সম্মুখীন হওয়ার জন্য প্রস্তুত হন। এই মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, রাশেদ খান মেনন, হাসানুল হক ইনু, সাবেক বিচারপতি এএইচএম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক ও জাহাঙ্গীর আলমসহ আরও অনেকে উপস্থিত রয়েছেন।

প্রসাক্ষি পক্ষের পক্ষ থেকে সালমান এফ রহমান, আনিসুল হক, হাসানুল হক ইনু ও জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে পৃথকভাবে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ বা ‘ফরমাল চার্জ’ দাখিল করা হয়েছে। এর মধ্যে ইনুর মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলমান। জুলাই আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে গণহত্যার দায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় এবং পলকের বিরুদ্ধেও আদালত আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গ্রহণ করেছেন। এছাড়া জয়কে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মৃত্তিকার এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আরও শুনানি ও শুনানির তারিখ নির্ধারণের জন্য দিন ধার্য্য করা হয়েছে।

এছাড়া, সাবেক সেতু বিভাগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আজকের দিনটি নির্ধারিত ছিল। প্রসিকিউশনের এক পক্ষ ঘটনার তদন্তে সময় চাওয়ার পর আদালত প্রতিবেদন সংগ্রহের নির্দেশ দেন। এই আইনি কার্যক্রমকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকেই ট্রাইব্যুনাল এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর তল্লাশি চালিয়ে কাউকে আদালত চত্বরে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না।