সরকারের ১৬ ডিসেম্বর এনইআইআর চালুর প্রতিশ্রুতি অটল

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৮, ২০২৫

আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে ‘ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার’ (এনইআইআর) ব্যবস্থা কার্যকর করার সিদ্ধান্তে সরকার অটল। এর মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, অবৈধ বা অনিবন্ধিত মোবাইল ফোনের ব্যবহার বন্ধ করা উদ্দেশ্য। সরকারের মূল লক্ষ্য হলো নির্বাচনের আগে অবৈধ ডিভাইসের কারণে ঘটে এমন অপরাধগুলো রোধ করা, অভ্যন্তরীণ বাজারে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ও রাজস্ব বৃদ্ধি। তবে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং এনইআইআর এর সংস্কারের জন্য রোববার সাধারণ মোবাইল ব্যবসায়ীরা বিটিআরসি ভবন ঘেরাও করে প্রতিবাদทาง বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত করে।

রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনের সামনে ‘মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশ’ (এমবিসিবি)-এর ব্যানারে শত শত ব্যবসায়ী অবস্থান নিলে তীব্র যানজট ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। এতে কর্মকর্তারা অবরুদ্ধ হন। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, এনইআইআর বাস্তবায়ন হলে লাখো ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং একটি বিশেষ সিন্ডিকেট লাভবান হবে। তারা বলেন, বিদ্যমান কর কাঠামো অনুযায়ী ২০ হাজার টাকার একটি মোবাইল ফোনের দাম প্রায় ৫০ হাজার টাকায় এসে পৌঁছায়, যেখানে ভ্যাটের পরিমাণ প্রায় ৫৭ শতাংশ। এই মহূর্তে সাধারণ শিক্ষার্থী ও যুবকদের জন্য এমন মূল্য অনেকটাই অপ্রতুল। তাই তারা সিন্ডিকেট চালু, এনইআইআর সংস্কার ও আমদানির সুযোগের প্রসার দাবি করেন।

বিক্ষোভের পর রাতে বিটিআরসি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. এমদাদ উল বারী ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি আশ্বাস দেন যে, এনইআইআর-সংক্রান্ত জটিলতা নিরসনে সরকার শিগগিরই অর্থ উপদেষ্টা, এনবিআর চেয়ারম্যান, বাণিজ্য সচিব ও সংশ্লিষ্ট সংস্থা প্রতিনিধিদের নিয়ে একটি যৌথ বৈঠক করে সমাধান করবেন। এই আশ্বাসে আন্দোলনরত ব্যবসায়ীরা সোমবার পর্যন্ত তাদের অবরোধ কর্মসূচি স্থগিত করেন।

অন্যদিকে, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব জানিয়ে থাকেন, সরকারের দৃঢ় মনোভাব রয়েছে। তিনি বলেন, দেশে ডিজিটাল প্রতারণার ৭৩ শতাংশই হয় অবৈধ স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এই অপরাধ চক্রকে ভাঙতে এবং নির্বাচনের আগে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর চালু করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তিনি আরও জানান, মোবাইল চোরাচালান চক্রের স্বার্থে কিছু গোষ্ঠী এই উদ্যোগে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছে।

এদিকে, অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন বন্ধের ভয়ে ও মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় ক্রেতারা মোবাইল দোকানগুলোতে ভিড় করছেন। সরকারের আইসিটি বিভাগ আশ্বস্ত করে বলেছে, ১৬ ডিসেম্বরের আগে দেশের নেটওয়ার্কে সচল থাকা সব মোবাইল স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। এছাড়া, বিদেশ থেকে আনা মোবাইল ফোনগুলো পরবর্তীতে অনলাইনে নিবন্ধনের সুযোগও রাখা হবে।