তালা ভেঙে শ্রেণিকক্ষে ঢুকে পরীক্ষার সূচনা করলেন ইউএনও

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫

শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাদের দাবি আদায়ের জন্য শ্রেণিকক্ষের দরজায় তালা ঝুলিয়ে পরীক্ষাকে বর্জন করেছিলেন। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যেই বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ তালা ভেঙে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে পরীক্ষার কার্যক্রম চালু করেন। তিনি উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. নূরন নবীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।

জানা গেছে, শেরপুর জেলার মোট ৭৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা গত বুধবার থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেন এবং বৃহস্পতিবারও তা চালিয়ে যান। এই কর্মসূচির মূল দাবি হলো সহকারী শিক্ষক পদকে বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা) ক্যাডারে অন্তর্ভুক্ত করা, শূন্যপদে নিয়োগ দেয়া, পদোন্নতি ও পদায়ন কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করা, টাইম স্কেল ও সিলেকশন গ্রেডের বকেয়া পরিশোধ, এবং পূর্বের মতো সহকারী শিক্ষকদের অগ্রিম বেতন সুবিধা পুনর্বহাল করা। এই আন্দোলনের কারণে শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে তালা ঝুলিয়ে পরীক্ষা বন্ধ করে দেন, যা দেখে অনেক অভিভাবকের মধ্যে ক্ষোভ দেখা যায়।

অভাবভোগীরা বলছেন, হঠাৎ করে শিক্ষকরা পরীক্ষাগুলো বন্ধ করে আন্দোলনে নামতে পারেন, যা শিক্ষার্থীদের জন্য মানসিক চাপের কারণ হতে পারে। এক অভিভাবক হালিম মিয়া বলেন, এইভাবে হুট করে পরীক্ষা বন্ধ করাটা একদমই ঠিক নয়। তিনি আরও যোগ করেন, বার্ষিক পরীক্ষা বন্ধ করে আন্দোলন করলে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। শিক্ষকরা যদিও মানুষ গড়ে তোলার কাজ করে, কিন্তু তাদের এই ধরনের আন্দোলন সত্যিই অনুচিত।

আরেক অভিভাবক ইসমাইল হোসেন বলেন, এটা আন্দোলন নয়, বরং শিক্ষার্থীদের ওপর হস্তক্ষেপ। সরকারকে অবশ্যই কঠোর হতে হবে। যদি এই ধরনের প্রতিবন্ধকতা চলতেই থাকে, তাহলে নতুন করে শিক্ষক নিয়োগের প্রয়োজন রয়েছে। তিনি যোগ করেন, পরীক্ষা বর্জন করে আন্দোলন করা মানায় না, এটি আসলে শিক্ষার্থীদের অপমান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনীষা আহমেদ বলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় শিক্ষকদের অবিলম্বে পরীক্ষায় ফিরতে নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি, যদি শাটডাউন বা কর্মবিরতি অব্যাহত থাকে, তবে সরকারি আইন, আচরণবিধি ও ফৌজদারি আইনের দৃষ্টিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন তিনি।