নভেম্বরে রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ১২, সহিংসতা বৃদ্ধির আশঙ্কা Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৫, ২০২৫ নভেম্বর মাসে কমপক্ষে ৯৬টি রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন এবং আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৮৭৪ জন। এছাড়া, এই মাসে গণপিটুনি ও মব সহিংসতার ঘটনায় ২০টিরও বেশি ঘটনায় নিহত হয়েছেন অন্তত ১৬ জন এবং আহত হয়েছেন ১১ জন। বাংলাদেশে প্রকাশিত ১৫টি জাতীয় প্রেস এবং হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদন লেখা হয়েছে। সংগঠনের মতে, নভেম্বর মাসে সহিংসতার সংখ্যা অক্টোবরের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। অক্টোবর মাসে ৬৪টি সহিংসতার ঘটনায় নিহত হন ১০ জন এবং আহত হন ৫১৩ জন। তবে নভেম্বর মাসে এ সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ৯৬ ঘটনার মধ্যে ১২ জন নিহত ও ৮৭৪ জন আহত হয়েছেন। বিশেষ করে বিএনপি’র অভ্যন্তরীন দ্বন্দ্বের মধ্যে ৪২টি ঘটনার মধ্যে ১০ জন নিহত ও ৫১২ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও বিএনপি ও আওয়ামী লীগ, জামায়াত-বিএনপি, অন্যান্য দলের মধ্যে সংঘর্ষে তাদের আহতের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য। এমন সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ৫২ জন, ৪১ জন, ১৫৫ জন ও নিহত হয়েছেন ১ জন, মোট নিহতের মধ্যে বিএনপির ১১ জন ও জেএসএস গ্রুপের ১ জন রয়েছে। নভেম্বর মাসে নারী ও কন্যা শিশু নির্যাতনের সংখ্যা বাড়ছে। কমপক্ষে ১৭৭ জন নারী ও কন্যাশিশু এই মাসে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের শিকার ৪৮ জন, যার মধ্যে ২৫ জন (৫২%) ১৮ বছরের নিচের শিশু বা কিশোর। গণধর্ষনের শিকার ১৩ জন ও ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২ জনকে। যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন ৩৬ জন নারী ও কন্যা শিশু, এর মধ্যে ১১ জন শিশু। এছাড়া, যৌতুকের জন্য নির্যাতনের ঘটনায় ৩ জন নিহত এবং ৫ জন আহত, পারিবারিক সহিংসতায় ২৯ জন নিহত, ৩২ জন আহত ও ২৪ জন আত্মহত্যা করেছেন। অতিরিক্ত, এই মাসে ২৩টি ঘটনায় কমপক্ষে ৩৬ জন সাংবাদিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন। আহত হয়েছেন ২২ জন, হুমকি পেয়েছেন ১১ জন এবং গ্রেপ্তার হয়েছেন ১ জন। আরও দুটি মামলায় ২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সাইবার নিরাপত্তা আইন-২০২৫ এর আওতায় অন্তত ৭টি মামলায় ৯ জন গ্রেপ্তার ও ২৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সীমান্তে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ৩টি হামলার ঘটনায় বিএসএফের আক্রমণে ১ বাংলাদেশি নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছেন। এছাড়াও, সারাদেশে কারাগারে কমপক্ষে ১২ জন বন্দি মারা গিয়েছেন। শ্রমিক নির্যাতনের ঘটনায় এই মাসে নিহত হয়েছেন ৪ জন ও আহত হয়েছেন ৭৬ জন, যেখানে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪ শ্রমিকের। ইজাজুল ইসলাম, হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক বলেন, অধিকাংশ সহিংসতার কারণ আধিপত্য বিস্তার, রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব, সমাবেশ কেন্দ্রিক সহিংসতা, নির্বাচনী প্রার্থীতাকে কেন্দ্র করে বিরোধ, কমিটি গঠন ও ভুয়া চাঁদাবাজি। তিনি যোগ করেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শক্তিশালী করা এবং মানবাধিকার সুরক্ষায় সার্বজনীন ও সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন। SHARES রাজনীতি বিষয়: