টেকনাফে অপহরণ ও সেনাঘাঁটি স্থাপনের দাবিতে কর্মসূচি Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৪০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০২৫ শিশুসহ অপহৃত ব্যক্তিদের দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়ে কক্সবাজারের টেকনাফে মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধের সময় এলাকাবাসী জোরালো অবস্থান নেয়। বুধবার বিকেলে বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরে পরিবেশিত এই কর্মসূচিতে ছাত্র, শিক্ষক, ব্যবসায়ী, শ্রমিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে অংশ নেন। এ সময় পর্যটকবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন কিছু সময়ের জন্য চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, রোহিঙ্গা অধ্যুষিত বাহারছড়ায় সাম্প্রতিক সময়ে অপহরণের ঘটনা বেড়েছে এবং আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। গত রোবबार শিশুসহ চারজন অপহরণ করা হয়েছে, যার মধ্যে বেশিরভাগই মুক্তিপণের বিনিময়ে ফিরে আসছেন। তারা জানান, গত এক বছরে টেকনাফে ২৬৪জন অপহৃত হয়েছেন। মানববন্ধনে উপস্থিত টেকনাফ মডেল থানার ওসি আবু জায়েদ মো. নাজমুন নূর বলেন, ‘অপহরণ বন্ধের এ দাবি যৌক্তিক। পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চললেও, স্থানীয়দের অনুরোধ করব মূল সড়কগুলো অবরোধ না করতে।’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন অব উখিয়া–টেকনাফ (ডুসাট) এর সভাপতি জয়নাল উদ্দিন বলেন, ‘আর কোনো অপহরণ চাই না। আমাদের ভাইদের ফিরিয়ে দিন। ইয়াবা, অস্ত্র ও সন্ত্রাসের জন্য এলাকা অনিরাপদ হয়ে উঠেছে। আমরা সেনাবাহিনীর চৌকি স্থাপন ও বিশেষ অভিযান চালানোর দাবিতে সোচ্চার হচ্ছি। না হলে আমরা পরিস্থিতি থেকে পালানো বাধ্য হব।’ শ্রীমঙ্গল উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও টেকনাফ উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি এম এ মঞ্জুর জানান, পর্যটনকেন্দ্র শামলাপুরে অপহরণকারীদের তৎপরতায় পর্যটকরা আতঙ্কে ভোগছেন। রাতে অনেকেই স্কুল ও মাদ্রাসায় আশ্রয় নিচ্ছেন, ছাত্র-ছাত্রীরাও স্বাভাবিকভাবে পড়াশোনা করতে পারছেন না। অব্যাহত অভিযান না হলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে না বলে তিনি মনে করেন। বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন খোকন বলেন, ‘এ ইউনিয়নে ৫০ হাজার মানুষের বাস। যদিও অপহরণকারীর সংখ্যা মাত্র ১০০ জন, তবে সচেতনতা ও একতায় তাদের বিরুদ্ধে কার্যক্রম কঠোর করা সম্ভব। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দুর্বল দল নয়, শক্তিশালী ও নিরপেক্ষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।’ লোকজনের মহামুল দফা দাবিসমূহ হলো: ১. ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপহৃত চারজনকে নিরাপদে ও বিনা মুক্তিপণে ফিরিয়ে দিতে হবে। 2. অপহরণচক্রের সঙ্গে যুক্ত স্থানীয় সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। 3. অপহরণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি—যেমন আজীবন কারাদণ্ড নিশ্চিত করতে হবে। 4. পাহাড়ে সাঁড়াশি অভিযান চালিয়ে সেনাবাহিনীর টহল জোরদার করতে হবে। 5. মুক্তিপণের জন্য অপহরণ ও উদ্ধারকাজের পরে ভিকটিম নির্যাতন বন্ধ করতে হবে। 6. নির্দিষ্ট সময়ে ভিকটিম উদ্ধারে ব্যর্থ হলে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা ও টেকনাফ থানার পুরো টিমকে বদলি বা পরিবর্তন করে দক্ষ বাহিনী নিয়োগ দিতে হবে। SHARES সারাদেশ বিষয়: