ঢাকাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় ফের ভূমিকম্প, আতঙ্কে নগরবাসী Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩১ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৪, ২০২৫ রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের এলাকাগুলো আবারও অনুভব করেছে মারাত্মক কম্পন। এ ঘটনায় নগরবাসী আতঙ্কের মধ্যে পড়ে গেছে, ঝড়ের মতো অনুভূতি নিয়ে তারা দ্রুত আশ্রয় খুঁজছেন। ৪ ডিসেম্বর (বৃহস্পতিবার) বিকেলে আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, এই ভূমিকম্পটি ছিল হালকা মাত্রার। ভোর ৬টা ১৪ মিনিট ৪৫ সেকেন্ডে অনুভূত এই কম্পনের উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর শিবপুর। রিখটার স্কেল অনুযায়ী এর মাত্রা ছিল ৪.১। ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র থেকে জানা যায়, এই কম্পনের উৎপত্তিস্থলের দূরত্ব ছিল ৩৮ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে রাজধানী ঢাকার থেকেও। অপরদিকে, ইউরো-মেডিটেরিয়ান সিসমোলজিক্যাল সেন্টার জানিয়েছে, এই ভূমিকম্পের মূল কেন্দ্র ছিল গাজীপুরের টঙ্গী থেকে ৩৩ কিলোমিটার উত্তর-উত্তরপূর্বে, আর নরসিংদী থেকে মাত্র ৩ কিলোমিটার উত্তরে। এর গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ৩০ কিলোমিটার। এর আগে, ১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে অনুভূত হয় আবারো ছোট ছোট কম্পন। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪.৯। কেন্দ্রস্থল ছিল মিয়ানমার অংধোংয়ের মিনজিন। এই কম্পন কিছু অঞ্চলে অনুভূত হয় চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানেও। তার আগে, ২৭ নভেম্বর বিকেলে ৪টা ১৫ মিনিট ২০ সেকেন্ডে ঢাকায় অনুভূত হয় একটি বড়ো ভূমিকম্প। এর রিখটার স্কেল ছিল ৩.৬, উৎপত্তিস্থল ছিল নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশাল। ওই দিন ভোরের সময় সিলেট ও কক্সবাজারের টেকনাফে ছয় দফা কম্পন অনুভূত হয়। আরও উল্লেখযোগ্য হলো, ২১ নভেম্বর শুক্রবার এবং তার পরের দিন শনিবার, মাত্র ৩১ ঘণ্টার মধ্যেই ঢাকাসহ আশপাশে চারবার ছোটো-বড়ো ভূমিকম্প হয়। এর মধ্যে বিশেষ উল্লেখ্য, ২১ নভেম্বর সকালে ঢাকার প্রায় ২৫ কিলোमीटर দূরে নরসিংদীর মাধবদীতে রিখটার স্কেলে ৫.৭ মাত্রার বেশি বড়ো কম্পন অনুভূত হয়। এর গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। এই ভূমিকম্পের ফলে দেশে কমপক্ষে ১০ জন নিহত ও পাঁচ শতাধিক মানুষ আহত হন। বর্তমানে, দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ ভূমিকম্পের মূল উৎপত্তিস্থল রয়েছে নরসিংদীতেই। এর ফলে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক বেড়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন জায়গায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। SHARES জাতীয় বিষয়: