গুমের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান সংবলিত অধ্যাদেশ জারি Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০২৫ আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় গুমের শাস্তি আরও কঠোর করে একটি নতুন অধ্যাদেশ জারি করেছে, যার নাম ‘গুম প্রতিরোধ ও প্রতিকার অধ্যাদেশ, ২০২৫’। গত সোমবার এই গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের গেজেট প্রকাশিত হয়, এর আগে ৬ নভেম্বর উপদেষ্টা পরিষদ এই খসড়াটির চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার পর। অধ্যাদেশ অনুযায়ী, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে গুমের প্রতিরোধ ও প্রতিকার জন্য পৃথক ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। এছাড়াও, এই অপরাধের ক্ষেত্রে জামিন বা আপসের সুযোগ থাকবে না। অধ্যাদেশে স্পষ্ট বলা হয়েছে, যদি কোনো সরকারি কর্মচারী বা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কোনও ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার, আটক, অপহরণ বা তার স্বাধীনতা হরণ করে থাকেন, এবং এই অপকর্মের পর তার অবস্থান বা পরিস্থিতি গোপন রাখেন বা অস্বীকার করেন, তবে তা গুম হিসেবে গণ্য হবে। এই অপরাধে দোষী ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ডের দণ্ড দেওয়া হতে পারে। গুমের সঙ্গে মৃত্যুর সম্পর্ক থাকলে বা পাঁচ বছর পরেও নিখোঁজ ব্যক্তির কোনও সন্ধান না পাওয়া গেলে, দণ্ড আরও কঠোর হবে—দায়ী ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হতে পারে। এছাড়াও, গুমের উদ্দেশ্যে গোপন আটক কেন্দ্র নির্মাণ বা ব্যবহার করলে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে। নতুন এই অধ্যাদেশে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বা কমান্ডার এই ধরনের অপরাধে দোষীদের নির্দেশ, অনুমোদন বা প্ররোচনা দেন বা নিজেই অংশগ্রহণ করেন, তবে তিনি মূল অভিযুক্তের দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। একইভাবে, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে অধস্তনরা এই ধরনের অপরাধে জড়ালে ওই কর্মকর্তাকেও সাজা দেওয়া হবে। শৃঙ্খলা রক্ষা ও অধস্তনদের নিয়ন্ত্রণের অক্ষমতা থাকলে এবং এতে যারা অপরাধে লিপ্ত হন, সেই সব পরিস্থিতিতেও সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব থেকে ছাড় পাবেন না। এই নতুন অধ্যাদেশটি গুমের প্রতিরোধে কঠোর এবং সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য সতর্ক বার্তা হিসেবে কাজ করবে। SHARES জাতীয় বিষয়: