গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫: সময়োপযোগী ও গুরুত্বপুর্ণ উদ্যোগ Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২, ২০২৫ বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন সম্প্রতি বলেছেন, বিশ্বব্যাপী দ্রুত পরিবর্তনশীল বাণিজ্য পরিবেশে বাংলাদেশের রপ্তানি উন্নয়নে পণ্য বৈচিত্র্যকরণ, সরবরাহ ব্যবস্থা শক্তিশালী করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। তিনি এই কথা বলেন সম্প্রতি পূর্বাচলে অনুষ্ঠিত ‘গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫ ঢাকা’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, যেখানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। এই প্রদর্শনীটি মূলত দেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন ধারণা শেয়ার, গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নেওয়া, সহযোগিতা প্রতিষ্ঠা এবং দীর্ঘমেয়াদি ব্যবসায়িক অংশীদারিত্বের । সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। শেখ বশিরউদ্দীন আরও উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ শীঘ্রই স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের পরিকল্পনা করছে, যা আমাদের অগ্রগতির নতুন দিগন্ত খুলে দেবে। তবে, এই মাইলফলক আমাদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জও নিয়ে এসেছে। বর্তমানে যে সুবিধা এবং ছাড়গুলো ভোগ করছি, সেগুলো ধীরে ধীরে কমে যেতে পারে। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, এই পরিবর্তনগুলো সফলভাবে মোকাবিলা করতে হলে আমাদের পণ্য ও রপ্তানি বাজারের বৈচিত্র্যকরণ, প্রতিযোগিতামূলকতা বৃদ্ধি এবং দিকনির্দেশেআধুনিক বাণিজ্য নীতি গ্রহণে দ্রুত এগিয়ে যেতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে, গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো আয়োজন কেবল সময়ের প্রয়োজন নয়, ভবিষ্যতের জন্য কৌশলগত দিক দিয়েও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিকবিষয়ক বিশেষ দূত ড. লুতফে সিদ্দিকী, এক্সপোর্ট প্রমোশন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, এফবিসিসিআইর অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহিম খান এবং বিকেএমইর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম উপস্থিত ছিলেন। দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য প্রথমবারের মতো সরকারি উদ্যোগে এই আয়োজন সরকার ও বাণিজ্য সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক পদক্ষেপ। এই এক্সপো আজ শুরু হয়ে চলবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত, যেখানে বাংলাদেশের আটটি গুরুত্বপূর্ণ রপ্তানি খাতের পণ্য প্রদর্শিত হচ্ছে। এই খাতগুলো হলো তৈরি পোশাক, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, পাট ও পাটজাত পণ্য, কৃষিজাত পণ্য, প্লাস্টিক ও কিচেনওয়্যার, হোম ডেকর ও ফার্নিচার, ওষুধ এবং তথ্যপ্রযুক্তি। শতাধিক প্রতিষ্ঠান, বহুজাতিক কোম্পানি, পাইকারি ব্যবসায়ী ও সরবরাহকারীরা এতে অংশ নিয়েছেন। পাশাপাশি আফগানিস্তান, চীন, ইরান, জাপান, মিয়ানমার, পাকিস্তান, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রের ক্রেতা, বিনিয়োগকারী ও সোর্সিং প্রতিষ্ঠানও এই প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছেন। এরা পণ্য ও সেবা নিয়ে সভা, ক্রয়-বিক্রয়সহ চুক্তি সম্পাদনের সুযোগ পাবে। তিন দিনের এই এক্সপোতে থাকছে বিষয়ভিত্তিক ১০টি বিশেষ সেমিনার, অনলাইন ও অফলাইন বিজনেস-টু-বিজনেস (বিটুবি) বৈঠক, দেড় শতাধিক স্টল, নেটওয়ার্কিং সেশন এবং ফ্যাশন শো। এই আয়োজন বাংলাদেশের রপ্তানি সম্ভাবনাকে আরও বিস্তৃত করতে এবং নতুন বাজার সম্পর্কে ধারণা অর্জনের জন্য এক বিরাট সুযোগ। SHARES অর্থনীতি বিষয়: