তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসায় কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২৫ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত chairman তারেক রহমানের দেশে ফেরার ব্যাপারে সরকারের কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই। যদি তিনি দেশের ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেন, তাহলে এক দিনের মধ্যেই তার জন্য এককালীন ভ্রমণ অনুমতি দেওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, ‘তারেক রহমান যদি আজই তার দেশে ফেরার ইচ্ছা জানান, আমরা আগামীকালই তাকে এককালীন ভ্রমণ অনুমতি প্রদান করতে পারব। এর পরই তিনি বিমানযোগে দেশের পরিস্থিতি অনুযায়ী ফিরতে পারবেন। এটি পুরোপুরি তার ইচ্ছার উপর নির্ভর করছে।’ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত হয় ‘বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি: পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রাসঙ্গিক ভূমিকা সংজ্ঞায়ণ’ শীর্ষক আলোচনাসভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। কূটনৈতিক সংবাদদাতা সমিতি, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। তৌহিদ আরও বলেন, সরকার জানে না যে তারেক রহমান বর্তমানে লন্ডনে অবস্থান করছেন। তিনি বলেন, ‘যদি তিনি দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন, অন্য কোনো দেশের পক্ষ থেকেও তাকে বাধা দেওয়া অস্বাভাবিক।’ উল্লেখ্য, কেউ যদি দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করেন কিন্তু বৈধ পাসপোর্ট না থাকলে সাধারণত সরকার এককালীন ভ্রমণ অনুমতি ব্যবস্থা করে, যা সাধারণত এক দিনেই সম্পন্ন হয়। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের বিষয়ে তৌহিদ বলেন, জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের পর থেকে পরিস্থিতি দিয়ে বোঝা যায়, প্রতিবেশী দেশটি নতুন বাস্তবতার সঙ্গে মানিয়ে নিতে কিছু সময় লাগবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে দ্রুতই দুই দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে আসবে। এর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে স্বার্থভিত্তিক আরও উন্নত সম্পর্ক চাই।’ তারেক রহমান দেশে না ফিরলে নির্বাচনী কার্যক্রমে কোনো বাধা তৈরি হবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ বলেন, ‘কাউকে না থাকলেও নির্বাচন কোনভাবেই বাধাগ্রস্ত হবে না।’ সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সম্পর্কে তৌহিদ জানান, যদিও ধারণা করা হয় তিনি ভারতে আছেন, তবে নয়াদিল্লি এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক নিশ্চয়তা দেয়নি, এবং তার প্রত্যাবর্তন বিষয়ক কোনো আলোচনা এখনও হয়নি। তিনি বলেন, ‘আমার কাছে আসাদুজ্জামান খান কামাল সম্পর্কিত কোনো অফিসিয়াল তথ্য নেই। আমি জানি তিনি ভারতে আছেন, কিন্তু কখনোই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি।’ উপদেষ্টা আরও বলেন, শেখ হাসিনাকে দণ্ডিত করা হয়েছে—বাংলাদেশ আশা করে যত দ্রুত সম্ভব তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। সীমান্তে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তিনি মন্তব্য করে বলেন, এটি বিশ্বের একমাত্র সীমান্ত যেখানে যুদ্ধ পরিস্থিতি না থাকলেও মানুষ হত্যা হচ্ছে। অলটিতে তিনি বলেন, ‘কেউ যদি অপরাধ করে তবে তার জন্য রয়েছে আদালত ও শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা।’ ayrıca, বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের দ্বারা নাগরিক হত্যার বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রতিবাদ ও নিন্দা জানানো হবে। অনুষ্ঠানে ডিক্যাবের সভাপতি এ.কে.এম মইনুদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক মো. আরিফুজ্জামান মামুনাও বক্তব্য রাখেন। সূত্র: বাসস। SHARES জাতীয় বিষয়: