বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান বাণিজ্য ও বিনিয়োগে গুরুত্বারোপ Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৭, ২০২৫ বাণিজ্য বাধা দূরীকরণ, পর্যটন খাতের উন্নয়ন, ঢাকা-তাসখন্দ বিমান চালান পুনরায় চালুর উদ্যোগ এবং যৌথ বিনিয়োগের ব্যাপক প্রসার নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন এবং বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নিযুক্ত উজবেকিস্তানের অনাবাসিক রাষ্ট্রদূত সারদর রুস্তামবায়েভ। বৈঠকটি বুধবার বিকেলে সচিবালয়ের উপদেষ্টার অফিসে অনুষ্ঠিত হয়। উভয়পক্ষ বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় বস্ত্র, চামড়া, কৃষি, ফার্মাসিউটিক্যাল এবং এগ্রো-প্রোसेসিং খাতে সহযোগিতা সমৃদ্ধ করার ওপর। বৈঠকে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন একাদশে বলেছিলেন, বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের সম্পর্ক ঐতিহাসিক। এই সম্পর্ককে আরও গভীর করতে চাই বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের মাধ্যমে। অন্যদিকে, উজবেকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সারদর রুস্তামবায়েভ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সাফল্য প্রসঙ্গে প্রশংসা করেন এবং দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির ব্যাপক সম্ভাবনার কথাও উল্লেখ করেন। উল্লেখ্য, রাশিয়ান ফেডারেশন ভেঙে যাওয়ার পর ১৯৯২ সালের ১৫ অক্টোবর বাংলাদেশের সাথে উজবেকিস্তানের আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। গত অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ছিল প্রায় ৩৭.২৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যার মধ্যে বাংলাদেশের রপ্তানি ৩২.৮৩ মিলিয়ন ডলার এবং উজবেকিস্তান থেকে আমদানি ৪.৪০ মিলিয়ন ডলার। বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত কয়েক বছর ধরে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং উভয় দেশ একে-অপরের জন্য সম্ভাবনাময় বাজার হিসেবে পরিচিতি লাভ করছে। বৈঠকে আরও আলোচনা হয় বাণিজ্য বাধা দূরীকরণ, পর্যটন শিল্পের বিকাশ, ঢাকা-তাসখন্দ বিমান চলাচল সচল করা, যৌথ বিনিয়োগের প্রসার এবং বাণিজ্যিক তথ্য দ্রুত বিনিময় করার বিষয়গুলো। উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান ও অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. আব্দুর রহিম খান। SHARES অর্থনীতি বিষয়: