তারেক রহমান: এলডিসি উত্তরণ ও বন্দর নিয়ে সিদ্ধান্ত কেবল নির্বাচিত সরকারেরই অধিকার Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৬, ২০২৫ বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) তালিকা থেকে টেকসই উত্তরণ এবং চট্টগ্রাম বন্দরের ভবিষ্যত নিয়ে সম্প্রতি বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি যেন স্পষ্ট করে বলছেন, এসব সিদ্ধান্তের যে ব্যাপক প্রভাব দেশের অর্থনীতি ও সামাজিক জীবনযাত্রায় পড়বে, তা শুধুমাত্র নির্বাচিত সরকারই নিতে পারে। তিনি মনে করেন, এমন গুরুত্বপূর্ণ ও দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়া উচিত দেশের ভোটে নির্বাচিত সরকার এবং তা জবাবদিহিতার আওতায় থাকতে হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার যদি এমন সিদ্ধান্ত নেয় যা দেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জীবনধারাকে বদলে দেয়, সেটি ক্ষমতার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এই জন্যই তারেক রহমান এই সিদ্ধান্তগুলো স্থগিত করে, পর্যালোচনা ও আলোচনা করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, এই বিষয়গুলোতে ভোগান্তি ও অনিশ্চয়তা বাড়ানো উচিত নয়; বরং সবার পক্ষে স্বচ্ছ, দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা এবং দেশের ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করাই মূল লক্ষ্য হওয়া উচিত। তারেক রহমান বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন, উদাহরণসহ তুলে ধরে কীভাবে একদিকে গাজীপুরের একটি ছোট পোশাক কারখানা ব্যবসায়ী তার এক যুগেরও বেশি সময়ের শ্রম ও পরিশ্রমের ফলাফল হারানোর ভয় কাজ করছে, অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জের এক তরুণী তার পরিবারের ভবিষ্যৎ অনিশ্চয়তায় ডুবে গেছে। এই সব পরিস্থিতি বোঝাতে তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে স্থায়ী ও জবাবদিহিমূলক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য ভোটের ভিত্তিতে ক্ষমতায় থাকা সরকারই একমাত্র উপযুক্ত। এলডিসি উত্তরণ প্রসঙ্গে, তিনি জানান, বিএনপি আগে থেকেই বলছে, ২০২৬ সালে দেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু সেই সময়ের ধারাবাহিক অগ্রগতি ও সিদ্ধান্তের ব্যাপারে স্থগিতের সুযোগ খোলা থাকলে দেশ ও অর্থনীতি উভয়ই বিপদে পড়বে। তিনি বলেন, এটা একদমই অপ্রয়োগ বা অপ্রত্যাশিত নয় যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তবে সেই সিদ্ধান্ত দেশের স্বার্থে, স্থায়ী, জবাবদিহিমূলক ও জনগণের মতামতের ভিত্তিতে হওয়া উচিত। চট্টগ্রাম বন্দরের প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, এটি দেশের অর্থনীতির প্রবেশদ্বার। এখানকার সিদ্ধান্ত ও পরিবর্তনগুলো দেশের কোটি কোটি মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলে। তিনি সতর্ক করে দেন, এই বন্দরের উন্নয়ন ও সংস্কার সংক্রান্ত দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা যেন অযাচিত ও বৈধতা ছাড়া না হয়। নিরপেক্ষতা ও স্বচ্ছতা বজায় রেখে, এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ সুরক্ষা ও দেশের ভবিষ্যৎ রক্ষায় সিদ্ধান্ত নিতে হবে সেই সরকারকেই, যাকে জনগণ ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে। তারেক রহমান স্পষ্ট করে বলেছেন, এর অপারদর্শিতা বা প্রতিহত করার কথা নয় যে, এলডিসি থেকে উত্তরণের বা বন্দর সংস্কারের প্রশ্ন অপ্রয়োজনীয় বা অগ্রহণযোগ্য। বরং দেশের সামগ্রিক স্বার্থে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেন এমন সিদ্ধান্ত না নেয়, যা দেশের ভবিষ্যৎকে আল কাটা কেটে দেবে। এটাই হচ্ছে মূল বার্তা— দেশকে এগিয়ে নেওয়ার স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক পথই বেছে নেয়া দরকার, যাতে দেশের মানুষ ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য নিরাপদ পথ তৈরি হয়। SHARES রাজনীতি বিষয়: