রমজানের জন্য নিত্যপণ্যের আমদানি বেড়েছে

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২৫

রমজান সামনে রেখে দেশে সয়াবিন তেল, চিনি, মসুর ডাল, ছোলা, মটর ডাল এবং খেজুরের আমদানি উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। সাধারণত রমজান মাসে ভোগ্যপণ্যের চাহিদা ব্যাপক বাড়ে। এ কারণে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে ব্যাংকেরrylসি (এলসি) খোলার পরিমাণ অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

আন্তর্জাতিক আমদানির তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এই সময়ে সয়াবিন তেল আমদানি ৩৬ শতাংশ, চিনি ১১ শতাংশ, মসুর ডাল ৮৭ শতাংশ, ছোলা ২৭ শতাংশ, মটর ডাল ২৯৪ শতাংশ এবং খেজুরের আমদানি ২৩১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়া, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২০২৬ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রমজান শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।

রমজানে প্রাধান্য পাওয়ার কারণেই তেল ও চিনির চাহিদা বাড়ে। শীর্ষ আমদানিকারক কোম্পানিগুলো সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে বিশেষ করে এলসি (ঋণপত্র) খোলার পরিমাণ বাড়িয়েছে। এর পাশাপাশি আগের থেকেই রমজানের জন্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যসমূহ যথেষ্ট পরিমাণে সংগ্রহ করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এ ধারা নভেম্বর-ডিসেম্বরে এবং পরবর্তীতেও অব্যাহত থাকবে। তবে নতুন আমদানি পণ্য আগের তুলনায় বেশিরভাগই রোজার শুরু আগে পর্যন্ত এসে পৌঁছাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর সেপ্টেম্বরে মোট ৬.২৯ বিলিয়ন ডলার, অক্টোবরের জন্য ৫.৬৪ বিলিয়ন ডলার মূল্যের এলসি খোলা হয়েছে। এই সময়ে সয়াবিন তেলের আমদানির জন্য এলসি ৪ লাখ ৯৪ হাজার ৮৬৫ টন খোলা হয়েছে, যেটি গত বছর একই সময়ে ছিল ৩ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪ টন। চিনি আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে ২ লাখ ৯২ হাজার ৫৭২ টন, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় বেশি। ডাল, ছোলা ও খেজুরের আমদানিও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

বিশ্লেষক ও আমদানিকারকরা বলছেন, ব্যাংকে ডলারের সংকট আর না থাকায় এই উন্নতি সম্ভব হয়েছে। ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ডলারের সংকটের কারণে আমদানিতে বাধা সৃষ্টি হয়েছিল। তবে বর্তমানে সেই সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়েছে। এছাড়াও, এলসি খোলার জন্য ব্যাংকের মার্জিন বাধ্যবাধকতা শিথিল করায় ভোগ্যপণ্য আমদানি নির্বিঘ্নে চলছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক রমজানের সময় ভোগ্যপণ্য আমদানিকে সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে এ ধরনের সুবিধা দিচ্ছে।