বাংলাদেশে কোরআন-সুন্নাহর বিপরীত আইন করবে না সরকার: সালাহউদ্দিন আহমদ

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ স্পষ্টভাবে ঘোষণা করেছেন, বাংলাদেশে কোরআন ও সুন্নাহর বিরোধী কোনও আইন করা হবে না। তিনি বলেন, যদি অতীতে এই ধরনের কোনও আইন থাকতো, সেটি অবিলম্বে বাতিল করা হবে। এই মন্তব্য তিনি রোববার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মিলিত ইমাম খতিব পরিষদ আয়োজিত জাতীয় সম্মেলনে দেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সংবিধানে জিয়াউর রহমান বিশ্বাসের ওপর বিশ্বাস ও পূর্ণ আস্থা প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। তবে বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকার সেটিকে উচ্ছেদ করে সংবিধান থেকে এই ערכים হঠিয়ে দিয়েছে। তিনি জানান, এই ভুলের পুনর্বহাল কঠোরভাবে প্রতিরোধ করা হবে।

সম্মেলনে ইমাম ও খতিবদের পক্ষ থেকে সাত দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়, যার মধ্যে অন্যতম হলো—উপযুক্ত প্রমাণ ও তদন্ত ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা যাবে না। সালাহউদ্দিন আহমদ এ বিষয়ে বলেন, দেশের কর্তৃপক্ষের উচিত ছিলো প্রমাণ ছাড়া কাউকে গ্রেপ্তার না করা। কিন্তু বিগত সময়ে আওয়ামী সরকার দাড়া-টপ্পি বা আলেম-উলেমদের বিরুদ্ধে নানা ষড়যন্ত্র চালিয়েছে, এছাড়াও তারা ধর্মীয় নেতাদের ভয় দেখানোর জন্য নাটকীয়তা সৃষ্টি করেছে। এখন সেই বাংলাদেশের পরিবেশ বদলে গেছে, যেখানে আইন অমান্যকারীদের কোনও সুযোগ দেওয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে যে, মদিনার ইসলামী আদর্শ অনুসারে বাংলাদেশে সকলের মধ্যে শান্তি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশের বিভিন্ন ফতোয়া ও ফিরকা-ফেতনা বন্ধ করে এককভাবে ইসলামি অনুশীলনকে সমর্থন করে যাবে সকলে। বিশেষ করে মসজিদ, ইমাম ও খতিবদের যেন রাজনৈতিক বা অন্য যেকোনো বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা হয়, এটাই আমাদের প্রত্যাশা।

সম্মেলনের মধ্যে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানসহ আরও আলোচকরা। বক্তব্যে উঠে আসে ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতিফলন এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার গুরুত্ব।

উপস্থিত ব্যক্তিরা সাত দফা দাবির উপর জোর দেন, যেখানে মূল পয়েন্টগুলো হলো—সকল ধর্মের প্রতি সহিষ্ণুতা বজায় রেখে ইসলামি শরিয়াকে অগ্রাধিকার দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের জন্য স্বাভাবিক জীবনযাত্রার সুব্যবস্থা, বিদ্যুৎ ও পানির বিল Mওকুফ, জাতীয় পর্যায়ে ধর্মীয় নেতাদের নিয়োগের স্বচ্ছ প্রক্রিয়া, এবং ধর্মীয় কার্যক্রমে সরকারি স্বীকৃতি ও সম্মানজনক ভাতা নিশ্চিত। এ ছাড়া উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়া কারও গ্রেপ্তার বা হয়রানি বন্ধের মাধ্যমে ধর্মীয় নেতৃত্ব ও সমাজের শান্তি রক্ষা করা হবে।