বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ৩০ লাখ মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিতের জন্য আইনি নোটিস Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২৫, ২০২৫ জাতীয় নির্বাচনে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষের ভোটাধিকার আদায়ে সরকারকে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সুপ্রিম কোর্টের একজন মানবাধিকার আইনজীবী, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব, গুরুত্বপূর্ণ একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি এই নোটিশটি মানবাধিকার সংগঠন ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের পক্ষ থেকে প্রধান নির্বাচক, নির্বাচন কমিশন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সচিবদের ই-মেইলে পাঠিয়েছেন। নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে, বাংলাদেশে প্রচলিত আইনে নিশ্চিত করা হয়েছে যে নির্বাচনে বিশেষ চাহিদা থাকা, যেমন দৃষ্টিক্ষম বা শারীরিক প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ভোটদানে অংশগ্রহণ ও তাদের ভোটাধিকার সুরক্ষা সরকারের নির্বাহী ও আইনগত কর্তব্য। তবে দুর্ভাগ্যবশত, সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অপপ্রয়াস বা অকার্যকরতার কারণে প্রায় ৩০ লাখ প্রতিবন্ধী ভোটারের ভোটদানে বাধা সৃষ্টি হচ্ছে, ফলে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণে বঞ্চিত হচ্ছেন। বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশে মোট প্রতিবন্ধী ভোটার সংখ্যা ৩০ লাখের বেশি। এর মধ্যে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে মাত্র ১০ শতাংশ প্রতিবন্ধী ভোটার ভোট দিয়েছেন। অর্থাৎ, প্রায় ৯০ শতাংশ প্রতিবন্ধী ভোটার তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন, যা গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি দুর্বল করে দিচ্ছে এবং দেশটির রাজনৈতিক চর্চায় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। অনেক প্রতিবন্ধী নাগরিকের মতামত রাষ্ট্রের পরিচালনায় প্রতিফলিত হচ্ছে না। এই পরিস্থিতি বিবেচনা করেই মূলত আইনজীবী এই নোটিশ পাঠিয়েছেন, যাতে প্রতিবন্ধী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন মানুষদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণে আগ্রহ দেখানো হয়। তদ্ব্যতীত, নির্বাচন ও স্থানীয় নির্বাচনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রার্থী হিসেবে অংশগ্রহণের সুবিধার্থে, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে জামানতের জন্য নির্ধারিত অর্থ জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা থেকে তাদের অব্যাহতি দেওয়ার জন্যও সুপারিশ করেছে। নোটিসে জানানো হয়েছে, যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে এই বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তাহলে ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন ট্রাস্ট হাইকোর্টে রিট দায়ের করে আইনি পদক্ষেপ নেবে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উপর দায়বদ্ধতা চাপানো হবে। এটি সংবিধান ও দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার পূর্ণবাসনের জন্য একটি অপরিহার্য পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে। SHARES জাতীয় বিষয়: