পাবনায় ক্যান্সারে আক্রান্ত মেয়েকে বাঁচাতে বাবার আকুতি Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২৫ ঘাতক রোগ ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছে বলছে ছোট্ট শিশু নুসরাত জাহান। তার বয়স মাত্র ৭ বছর। সে পাবনার আদাবাড়িয়া গ্রামের দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া আশরাফ আলীর মেয়ে এবং স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। বর্তমানে নিরাময় ক্রমশ কঠিন হয়ে পড়ছে, কারণ নুসরাত রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার জীবন রক্ষার জন্য তাকে প্রতিদিন কেমোথেরাপি ও অন্যান্য ওষুধের প্রয়োজন হচ্ছে, যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। অসুস্থতার খবর শুনে পরিবারের সবাই চরম উদ্বিগ্ন। সংসার চালানো যেখানে একান্তই চ্যালেঞ্জের, সেখানে মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ জোগাড় করা খুবই কঠিন হয়ে পড়েছে। বাবার কপালে এখন ভীষণ চিন্তার ছায়া। তিনি সমাজের বিত্তশীল ও দানশীল ব্যক্তিদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন, যেন করে তার মেয়ের জীবন রক্ষা হয়। জানা যায়, কিছু দিন আগে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে নুসরাতকে স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসকরা তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার করেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজের বিএমটি, হেমাটোলজী ইউনিটের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডা. মোঃ কামরুজ্জামান দেখান। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে প্রকাশ পায়, শিশুর শরীরে ব্লাড ক্যান্সার ধরা পড়ে। নুসরাতের বাবা আশরাফ আলী বলেন, ‘আমাদের আর্থিক পরিস্থিতি খুবই খারাপ। তার জন্য প্রায় ১০ লাখ টাকা প্রয়োজন, যা আমাদের পক্ষে যোগাড় করা অসম্ভব। তবে মেয়ের জীবন রক্ষার জন্য সমাজের দানশীল ব্যক্তিদের সহায়তা চাই।’ তার চাচা রেজাউল করিম বলেন, ‘চিকিৎসকরা বলেছেন, যদি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ ও চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া যায়, তবেই নুসরাত সুস্থ হয়ে উঠতে পারবে। এই জন্য দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা ও ঔষধের প্রয়োজন, যা দিনে প্রায় ১০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়। এত টাকা তাদের সংগ্রহ করা কঠিন।’ আদাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আল আমিন হোসাইন মন্তব্য করেন, ‘নুসরাতের বাবা খুব দরিদ্র। তার পক্ষে এতো অর্থ খরচ করে মেয়েকে সুস্থ করে তোলা সম্ভব হচ্ছে না। যদি সমাজের বিত্তবানরা এগিয়ে আসেন, তবে হয়তো তার মেয়েকে বাঁচানো সম্ভব।’ সবাই যেন ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই শিশু জান্নাতের জীবন রক্ষায় এগিয়ে আসেন, সেই প্রত্যাশায় পরিবার ও চিকিৎসকদের আহ্বান। SHARES জাতীয় বিষয়: