মওলানা ভাসানী: স্বাধীনতা ও সংগ্রামের অমূল্য ইতিহাসের অবিস্মরণীয় নাম Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৭, ২০২৫ মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী বাংলাদেশের ইতিহাসের এক বিশিষ্ট ও শ্রেষ্ঠ নেতা হিসেবে নিজেকে আলাদা করে রেখেছেন। শনিবার জাতীয় ইতিহাসে এই নেতা তাঁর ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করা হয়, সেই উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। তিনি বলেছেন, মওলানা ভাসানী আমাদের দেশের জন্য এক অপূর্ব রত্ন, এক অমোঘ ইতিহাসের অবিস্মরণীয় নাম। মুক্তিযুদ্ধ, গণতন্ত্রের সংগ্রাম এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার পক্ষে তিনি ছিলেন অপ্রতিরোধ্য মুখ। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে শুরু করে উপমহাদেশের নিপীড়িত ও শোষিত মানুষদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি আপোষহীন ও সাহসী নেতৃত্ব প্রদান করেন। দেশমাতৃকার ম freedom থেকে মুক্তির পথ দেখিয়ে তিনি চিরকাল আমাদের হৃদয়ে অম্লান থাকবেন। তারেক রহমান আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম, গণতান্ত্রিক আন্দোলন এবং শ্রমজীবী ও কৃষকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের জন্য তিনি ছিলেন এক উজ্জ্বল আলো। শোষণের বিরুদ্ধে বিরামহীন সংগ্রামে তাঁর নেতৃত্ব ছিল অদ্বিতীয়। তাঁর সাহস ও নির্ভীকতায় শাসকগোষ্ঠীর কুদৃষ্টি ও দুঃশাসন কেঁপে উঠত। দুর্দিনে তিনি জনস্বার্থের পক্ষে দাঁড়িয়ে দেশের মানুষকে অনুপ্রাণিত করেছেন। তার শক্তিশালী বক্তৃতা ও নেতৃত্বের কারণে দুঃশাসনের সাম্প্রদায়িক ও স্বৈরাচারী শক্তির মসনদ আপদমস্তক কেপে উঠত। জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছিলেন তিনি, কারণ দেশের স্বার্থে তাঁর প্রতিটি কথা ছিল আন্দোলন ও প্রতিবাদের শক্তিশালী ঢেউ। তারেক রহমান আরও বলেন, ‘মওলানা ভাসানীর স্বপ্ন ছিল সব অসহায় ও নির্যাতিত মানুষের ন্যায্য অধিকার, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। তার দেশপ্রেম ও মানবপ্রেম আমাদের অনুপ্রাণিত করে চলবে। তার আদর্শ ধারার জন্য আমাদের এগিয়ে যেতে হবে, তাহলেই সফলতা আসবে।’ একই দিনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও আলোচনা করেছেন, ‘মওলানা ভাসানীর প্রদর্শিত পথই আজকের জন্য প্রেরণার শক্তি। শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তার আদর্শ আমাদের পথপ্রদর্শক। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষায় তাঁর অবদান চিরকাল আমাদের পথপ্রদর্শক থাকবে। আজকের দিনে আমি সকলকে আহ্বান জানাই, ভাসানীর আদর্শ ধারণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে এগিয়ে আসার।’ SHARES জাতীয় বিষয়: