আমীর খসরু: বর্তমান সংবিধানে গণভোটের সুযোগ নেই

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১১, ২০২৫

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী স্পষ্ট করে বলেছেন, বর্তমান সংবিধানে গণভোট করার কোনো সুযোগ বা পরিবেশ নেই। তিনি রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি ভবনের ক্রাইম রিপোর্টার্স মিলনায়তনে লিখক মোহাম্মদ ফয়েজ উদ্দিনের ‘আগামীর উন্নত জাতি গঠনের দিক-নির্দেশনামূলক সুপারিশ’ শীর্ষক গ্রন্থের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

আমীর খসরু বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ভিত্তি রয়েছে। এই সংবিধানে গণভোটের কোনও প্রভিশন বা অপশন নেই। অর্থাৎ, নির্বাচন আগে বা পরে গণভোটের জন্য এই সংবিধান কোনও অনুমোদন দেবে না। এ কারণে নির্বাচনের মধ্যে গণভোটের উদ্যোগ গ্রহণ কতটুকু সম্ভব বা গ্রহণযোগ্য, সে সম্পর্কে তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে, সংবিধান অনুযায়ী এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের সুযোগ নেই।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি গণভোটের জন্য নির্বাচনের দিনটি বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্তে ঐক্যমত রয়েছে এবং তারা উদারতার পরিচয় দিয়েছে, যাতে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত থাকে, সবাই সাহজভাবে একে অপরের প্রতি সম্মান দেখায় এবং বিশৃঙ্খলা না সৃষ্টি হয়।

অন্যদিকে, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনা بشأن বিভিন্ন প্রস্তাবের মধ্যে যেগুলোতে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ বা বিভেদ প্রকাশ পেয়েছে, সেগুলোর বিষয়েও তিনি মন্তব্য করেন। বলেন, যেখানে বিভেদ রয়েছে, সেখানে ঐকমত্য হয়নি। অর্থাৎ, কেউ কি বলছেন যে, ঐকমত্য হয়নি। যেখানে ঐকমত্য নেই, সেখানে গণভোটের বিষয়টিও উপযুক্ত নয়। তিনি মন্তব্য করেন, আজকের পরিস্থিতিতে বৈঠকে যতটুকু ঐকমত্য হয়েছে তার বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। তবে এখনো অনেক দাবিপ্রস্তাব উঠছে যেগুলোর মধ্যে ঐকমত্যের অভাব রয়েছে।

আমীর খসরু আরও বলেন, মানুষ এখন নির্বাচনের মাধ্যমে মুক্তি চান। দেশের সিদ্ধান্তগুলো এই মুহূর্তে স্থগিতপ্রক্রিয়ায় রয়েছে, কারণ বলা হয়, সব কিছু পরে, নির্বাচনের পরে করব। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এসব সিদ্ধান্তের কারণে দেশের অর্থনীতি, বিনিয়োগ, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং পারিবারিক জীবন সবই স্থবির হয়ে পড়েছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, যেন সবকিছু এখনই শেষ না হয়ে ভোট সম্পন্ন করে সবাই আগানো উচিত। তাঁর মতে, এমন পরিস্থিতিতে সব কিছু স্থগিত রাখা বা ঝুলে থাকা ঠিক নয়।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য শাহীন আবদুল বারী। অংশ গ্রহণ করেন এনামুল হক চৌধুরী, সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু, যুবদলের দক্ষিণের সভাপতি খন্দকার এনামুল হক এনাম ও অন্যান্য নেতাকর্মীরা।