ভিন্ন পেশার মানুষ পেয়েছে বকনা বাছুর, জেলে নয় Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৪১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১০, ২০২৫ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় বিতরণকৃত বকনা বাছুরের অপব্যবহার ও অনিয়মের ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। সরেজমিন অনুসন্ধানে জানা গেছে, অনেক মানুষ, যারা প্রকৃত জেলে নয়, তারা এ সুবিধা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে বেশ কিছু ব্যক্তি রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে এই তালিকা অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন এবং তারা জেলেদের নামে জেলে কার্ড পেয়েছেন। আসল জেলেরা তো বধস্ত তারা বকনা বাছুর পাননি। এদিকে, বিতরণের তালিকায় অনেকেরই পেশা ছিল ব্যবসায়ী বা অন্য পেশার, তবে তারা জেলেদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হন। যেমন, মুদি দোকানী উমেশ তালুকদার, যিনি কখনো জেলেই ছিলেন না বলে নিশ্চিত করে জানিয়ে দিয়েছেন। তাঁর মতে, তিনি মৎস্যলীগের সাবেক সভাপতি ছিলেন, ফলে তার নামে জেলে কার্ড হয়। এই কার্ডের মাধ্যমে তিনি বকনা বাছুর পেয়ে থাকেন। একইভাবে, জিন্নাগড় ইউনিয়নের বিভিন্ন ব্যক্তির নাম রয়েছে, যারা প্রকৃত জেলে নয়। অভিযোগ উঠেছে, মূলত স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের যোগসাজশে এই অনিয়ম চলছে। দীর্ঘ অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে ২১ ইউনিয়নে মোট ১৭৪ জন জেলেকে চার কিস্তিতে বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়। তবে, অনেক প্রকৃত জেলে যাঁরা মাছ শিকার করেন, তারা এই সুবিধা পাননি। এ থেকে বোঝা যায়, তালিকা প্রস্তুতিতে বড় ধরনের দুর্নীতি ও হয়রানি হয়েছে। চরফ্যাশন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, তালিকাগুলো স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে, তবে তাঁদের নামের তালিকা আমার কাছে সংরক্ষিত নয়। এই অনিয়মের কারণে প্রকৃত জেলেরা ক্ষতিগ্রস্ত ও অন্যায়ভাবে সুবিধাভোগীরা সুবিধা নিচ্ছেন বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা। সরকারের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ছিল, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, কিন্তু এর অপব্যবহার এই ক্ষেত্রে সরকারের স্বচ্ছতার প্রশ্ন তোলে। SHARES সারাদেশ বিষয়: