নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা ও আইনশৃঙ্খলা আরও শক্তিশালী হবে: সেনা সদর Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৬, ২০২৫ সরকার ইতিমধ্যেই আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী মনে করে, নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ আরও স্থিতিশীল হবে এবং আইনি ও শৃঙ্খলার পরিবেশ ধীরে ধীরে আরও স্বাভাবিক হবে। বর্তমান সেনাপ্রধানসহ সেনাবাহিনীর সিনিয়র নেতারা সকল সেনা সদস্যের শতভাগ আনুগত্যে বিশ্বাসী এবং তারা আরও বেশি ঐক্যবদ্ধ বলে জানানো হয়েছে সেনা সদর থেকে। বুধবার ঢাকার সেনা সদর দপ্তরে আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন ক্যাম্পের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি আর্টডক) লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান এসব তথ্য সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সেনা সদর দপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা, যেমন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল দেওয়ান মোহাম্মদ মনজুর হোসেন ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফিজুর রহমান। সংবাদ সম্মেলনে লেফটেন্যান্ট জেনারেল মো. মাইনুর রহমান বলেন, ‘আমরা আশা করি, নির্বাচনের পর দেশের পরিস্থিতি আরও উন্নতি করবে, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে এবং সেনানিবাসে ফিরে যেতে পারব। গত ১৫ মাসের মধ্যে দায়িত্ব পালন খুবই চ্যালেঞ্জিং ছিল, কিন্তু এখন আমরা আরও শক্ত ঐক্যবদ্ধ।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘দেশের জনগণের মত অনুযায়ী, সেনাবাহিনী অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। নির্বাচনের মধ্যে শেখানোর সময়সীমাও নির্ধারিত রয়েছে। আমরা আশা করি, নির্বাচন হলে দেশের স্থিতিশীলতা আরও বাড়বে এবং আইনী শৃঙ্খলা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে।’ বর্তমানে সেনা সদস্যদের জন্য নির্বাচনী প্রশিক্ষণ চললেও, দীর্ঘ সময় সেনানিবাস থেকে বাইরে থাকায় কিছু প্রশিক্ষণ ব্যাহত হচ্ছে বলে জানানো হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনা সম্পর্কে গুজব ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইনুর রহমান বলেন, ‘সেনাবাহিনী চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতিতে দায়িত্ব পালন করছে। কিছু স্বার্থান্বেষী চক্র সেনা নেতৃত্বকে অববেক্ষণ করতে অপপ্রচার চালাচ্ছে, যা আদৌ সত্য নয়। সব সেনা সদস্য তাদের প্রধান ও সিনিয়র লিডারশিপের প্রতি সম্পূর্ণ অনুগত এবং ঐক্যবদ্ধ।’ সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও অন্যান্য দায়িত্বে সেনা কার্যক্রম বিশদে তুলে ধরা হয়। বিশেষ করে, বিএনপির মনোনয়ন ঘোষণা পর জেলায় জেলায় সংঘর্ষের প্রসঙ্গ ওঠে। সেনাবাহিনী বলেছে, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে আছেন এবং প্রয়োজন হলে অন্য বাহিনীসহ সহযোগিতা করবেন। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করার জন্য সেনাবাহিনী ৯০ হাজার থেকে এক লাখ সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা করেছে, যা দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। জেলা ও উপজেলা স্তরেও ক্যাম্প স্থাপন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এদিকে, গ্রেপ্তার আটের মতো সেনা কর্মকর্তাদের চাকরি চালু থাকবে কি না, তা নিয়ে জটিলতা এখনও চলছে। গুম-খুন ও মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আটক সেনা কর্মকর্তাদের চাকরি ও চাকরি বহাল থাকাকালীন তাদের আইনি পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়েও বিস্তারিত জানান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মুস্তাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী, সেনা অফিসাররা তাদের অধিকার ও রাইটস সংরক্ষণে সচেতন এবং সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরও জানান, আইসিটি আইনের সংশোধনী ও সেনা আইনের অসামঞ্জস্য দূর করার জন্য সরকারসহ নানা প্ল্যাটফর্মে আলোচনা চলছে। অন্তত, মানবতাবিরোধী অপরাধে গ্রেপ্তার হওয়া কয়েকজন সেনা কর্মকর্তার সাজা ও চাকরির ভবিষ্যত নিয়ে এখনো স্পষ্ট নির্দেশনা আসেনি, তবে সংশ্লিষ্ট আইনি প্রক্রিয়া চলমান। সেনা সদর উল্লেখ করে, সরকার যদি ‘আর্মি অ্যাক্ট’ অনুযায়ী বিচার করতে চায়, তাহলে সেনারা প্রস্তুত। বিশেষ করে, আইসিটি আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিচার সম্পন্ন করতে তারা সমর্থ। অবশ্য, এসব কর্মকর্তাদের চাকরি থাকছে কি না ও তাদের কারাবাসের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে আইনি জটিলতা এখনো কাটানো যায়নি। ব্রিগেডিয়ার রহমান বলেন, এইসব বিষয়গুলো পরিষ্কার করতে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে এবং একসময় সমাধান মিলবে বলে প্রত্যাশা। آخرে, মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনুস্থিত হয়, যা প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে ১৫ সেনা কর্মকর্তা কারাগারে রয়েছেন এবং পরে তাদের ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবনকে অস্থায়ী কারাগার হিসেবে ঘোষণা করা হয়। গত ২২ অক্টোবর থেকে তারা কারাগারে আছেন। SHARES জাতীয় বিষয়: