হামাস আরও তিন মরদেহ ফেরত দিল ইসরাইলকে Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৪৭ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০২৫ হামাস সম্প্রতি আরও তিনজন জিম্মির মরদেহ ইসরাইলকে ফিরিয়ে দিয়েছে, যা মূলত মার্কিন-মধ্যস্থতায় চলমান যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় চুক্তির অংশ। ইসরাইল গতকাল রোববার এই তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছে যে, তারা গাজা থেকে আরও তিনজন অপ্রকাশিত মরদেহ গ্রহণ করেছে। এই খবরটি বার্তা সংস্থা এএফপি’তেও প্রকাশিত হয়েছে। গত ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি কার্যকর রয়েছে, যার মূল লক্ষ্য হল জীবিত ও মৃত সকল ইসরাইলি জিম্মি মুক্তি দেয়া। ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা রেডক্রসের মাধ্যমে তিন মৃত জিম্মির কফিন গ্রহণ করেছে। এই মরদেহগুলি প্রতিরক্ষা বাহিনী এবং গোয়েন্দা সংস্থা শিনবেতের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে এগুলো শনাক্তকরণ কেন্দ্রে পাঠানো হবে যাতে মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়। একজন মুখপাত্র বলেছেন, বিশেষজ্ঞরা মৃতদের পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করবেন এবং তাদের জানাবেন যে ঘটনাগুলোর কী হয়েছে ও এর ফলাফল কি। হামাসের সশস্ত্র শাখা জানিয়েছে, তারা দক্ষিণ গাজার একটি সুড়ঙ্গ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করেছে। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার সময় হামাস গাজায় ৪৮ জন জিম্মিকে ধরে রাখে, এর মধ্যে ২০ জন জীবিত থাকার ব্যাপারে নিশ্চিততা পাওয়া গেছে। এর পাশাপাশি, হামাস মুক্তি দিয়েছে বেঁচে থাকা অপহৃতদের এবং মৃতদেহ ফিরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়াও শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত, হামাস ১৭টি মরদেহ ফেরত দিয়েছে, যার মধ্যে ১৫ জন ইসরাইলি নাগরিক। অন্য দুইজনের মধ্যে একজন থাইল্যান্ডের এবং অন্যজন নেপালের নাগরিক। ইসরাইলের অভিযোগ, হামাস ইচ্ছাকৃতভাবে মরদেহগুলো ফিরিয়ে দিতে দেরি করছে। তবে হামাস দাবি করে, গাজার ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের কারণে অনেক মরদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা অবস্থায় রয়েছে, যার তার উদ্ধার কাজে দেরি হচ্ছে। তারা বারবার মধ্যস্থতাকারী এবং রেড ক্রসের কাছে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম ও কর্মী পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে আসছে যেন মরদেহগুলো দ্রুত উদ্ধার করা যায়। হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম এক বিবৃতিতে বলেছেন, রোববারের মরদেহ হস্তান্তর প্রমাণ করে যে দলটি যত দ্রুত সম্ভব মৃতদেহগুলো ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে। অপর একটি ইসরাইলি সংগঠন, যা অপহৃতদের পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করে, সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যে তারা দৃঢ় ও শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন এবং নিশ্চিত করুন যে সমস্ত মৃতদেহ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। অপহৃত ও নিখোঁজ পরিবারের ফোরাম এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘অপহৃতদের পরিবারের চায় প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তা ও কার্যকর পদক্ষেপ যেন নেওয়া হয়, হামাসের সাথে চুক্তির বাস্তবায়ন হয় এবং সব মৃত অপহৃতদের ইসরাইলের কাছে ফিরিয়ে আনা হয়।’ সূত্র: বাসস SHARES আন্তর্জাতিক বিষয়: