আসন্ন নির্বাচন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করবে Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৪, ২০২৫ প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গ্রহণযোগ্যতা ও দিক নির্ধারণ করবে। তিনি উল্লেখ করেন, আমরা কোন পথে এগোব—গণতন্ত্রের পথে না অন্য কোনো পথ—তা সম্পূর্ণরূপে এই নির্বাচনের ফলাফলের ওপর নির্ভর করছে। আমাদের লক্ষ্য হলো একটি অংশগ্রহণমূলক, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করা। গতকাল সোমবার, জাতীয় নির্বাচনে আনসার-ভিডিপির ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা মহড়া এবং ২০২৫-২০২৬ সালের ৪র্থ ধাপের আনসার কোম্পানি বা প্লাটুন সদস্যদের মৌলিক প্রশিক্ষণের কার্যক্রমের পরিদর্শন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, ‘একটি সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হলে শুধু নির্বাচন কমিশনের একার দায়িত্ব নয়; ভোটার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, রাজনৈতিক দল, সাংবাদিক—all must কাজ করে একসঙ্গে। সবার সহযোগিতা ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’ তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমি শুধুই চিফ ইলেকশন কমিশনার নই; আমি একজন নাগরিক। আমার দায়িত্ব এই নির্বাচনকে সফল করার জন্য।’ সিইসি উল্লেখ করেন, আসন্ন নির্বাচনে আনসার-ভিডিপি বাহিনী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করবে। এই প্রশিক্ষণ একটি বিনিয়োগ, যত বেশি প্রশিক্ষণ হবে, দায়িত্ব পালনে তাদের দক্ষতা ও আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। আনসার সদস্যরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া খবর ও তথ্য ছড়ানো থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন সিইসি, কারণ এআই ব্যবহার করে ভুয়া তথ্য ছড়ানো এখন সহজ। তিনি বলেন, যাচাই-বাচাই ছাড়া কোনো তথ্য শেয়ার করবেন না। আনসার সদস্যরা এই সচেতনতা তৃণমূল পর্যায়ে ছড়িয়ে দিতে পারে। নির্বাচন কমিশন একটি বিশেষ সেল গঠন করেছে, যা ভুয়া তথ্য চিহ্নিত ও প্রতিরোধে কাজ করবে। সিইসি জানান, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এবার ভোট দিতে পারবেন। এর জন্য নির্বাচন কমিশন ১৬ নভেম্বর একটি ‘পোস্টাল ভোটিং অ্যাপ’ চালু করবে, যার মাধ্যমে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দিতে পারবেন। তিনি বলেন, ‘অতীতের মতো নয়, এবার দায়িত্বে থাকাকালীন তারাও ভোট দিতে পারবেন। ব্যালট তাদের ঠিকানায় পৌঁছে যাবে এবং নির্ধারিত সময় অনুযায়ী ভোটদান সম্ভব হবে।’ প্রবাসী ভোটার এবং জেলবন্দিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে কমিশন বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। আশা প্রকাশ করেন, প্রশিক্ষিত আনসার-ভিডিপি সদস্যরা দায়িত্বশীলভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন। আনসার ও ভিডিপি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনায় সম্পূর্ণ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহৃত হবে। প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে থাকবেন আনসার সদস্যরা, যারা তাৎক্ষণিক ইনসিডেন্ট রিপোর্ট ও ছবি আপলোড করবেন। এই তথ্যগুলো সংশ্লিষ্ট রেসপন্স টিম—যেমন সেনাবাহিনী, পুলিশ বা আনসার—ততক্ষণে দেখবে এবং দ্রুত ব্যবস্থা নেবে। এতে নির্বাচনী ব্যবস্থাপনা আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ হবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি আরও জানান, এই নির্বাচনে ১৮ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ সদস্যরা মূল ভূমিকা রাখবে। তাদের সাহস, কর্মদক্ষতা ও দায়িত্ববোধ দেশের নির্বাচনী নিরাপত্তায় নতুন দিগন্ত আনবে। পুরো মোতায়েন প্রক্রিয়া হবে ডিজিটাল এভিআইএমএস সফটওয়্যার ব্যবহার করে, যেখানে শতভাগ সদস্যের ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক। আগেের মতো গ্রুপভিত্তিক মোতায়েনের প্রথা চিরতরে বন্ধ করা হবে, যা নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছভাবে পরিচালনা নিশ্চিত করবে। SHARES জাতীয় বিষয়: