বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যসম্মত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২, ২০২৫

বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক ও উন্নয়নমূলক বিভিন্ন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে এক σημανমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ব্যাংকক শহরে সম্প্রতি একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে এই বিষয়ক সহযোগিতা জোরদার করবে।

এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) এবং থাইল্যান্ডের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইটিডি) স্বাক্ষর করেছেন। এই গুরুত্বপূর্ণ চুক্তির মাধ্যমে তারা একসঙ্গে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেন, যা মূলত শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং নীতি বিশ্লেষণ খাতে সহায়তা প্রদান করবে।

আজ ঢাকায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও জাতিসংঘের এসকাপে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী। অন্যদিকে, আইটিডির তরফ থেকে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক সুপাকিত চারনকুল। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রবাসে থাকা দূতাবাসের দপ্তরপ্রধান, বিএফটিআইয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী ড. সাইফ উদ্দিন আহম্মদ (ভার্চুয়ালি), বাংলাদেশে থাকাকালীন সময়ের ইকনমিক কাউন্সিলর ও প্রথম সচিবদের মধ্যে অন্যতম মো. সামাউন খালিদ সহ আরও বেশ কিছু উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা।

চুক্তি অনুযায়ী, দুই প্রতিষ্ঠান মিলে গবেষণা, সেমিনার, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে, যার মাধ্যমে একাডেমিক ও নীতিগত জ্ঞান বিনিময়ের প্রসার ঘটবে। বাংলাদেশ সভ্যদের জন্য এই সহযোগিতা বিশেষত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি বাংলাদেশের বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা বৃদ্ধির পথে এক গুরুত্বপূর্ণ ধাপ বলে মনে করা হচ্ছে।

ফাইয়াজ মুরশיד কাজী আশা প্রকাশ করেন, এই সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে সম্ভাব্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বাস্তবায়নের জন্য যৌথভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানো আরও কার্যকর হবে। তিনি বাণিজ্য বিষয়ক সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে একটি পর্যালোচনামূলক সেমিনার আয়োজনের প্রস্তাব করেন।

ড. সাইফ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্যকরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। বিশেষ করে বর্তমানে, আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়াতে এই ধরনের সহযোগিতা খুবই দরকার। এই এমওইউ উভয় দেশের জন্যই গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও উদ্ভাবনের নতুন দিক উন্মোচন করবে, যা শুধু দুই দেশের জন্যই নয়, পুরো এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্যই উপকারী হবে।’

আরো বলেন, সুপাকিত চারনকুল, ‘আমাদের লক্ষ্য ভবিষ্যতে আরও ঘনিষ্ঠভাবে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং নীতিগত গবেষণার ক্ষেত্রে কাজ করা। আমরা চাই একসাথে কাজ করে টেকসই উন্নয়ন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি করা।’

বিএফটিআই বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সমর্থিত একটি গবেষণাভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাংক, যা দেশের বৈদেশিক বাণিজ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিকীকরণে গবেষণা ও নীতিগত সহায়তা দিয়ে থাকে। অন্যদিকে, আইটিডি থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তত্বাবধানে পরিচালিত একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনসিটিএডি)-এর সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত। দু’টি প্রতিষ্ঠান অঞ্চলভিত্তিক উন্নয়ন ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে, যা ভবিষ্যতের জন্য এক নতুন দিক নির্দেশনা হিসেবে কাজ করবে।