সীমান্তে আহত বিজিবি সদস্য নায়েক আক্তারের দাফন সম্পন্ন Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩০ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১, ২০২৫ সীমান্তে দায়িত্ব পালন করাকালে আরাকান আর্মির পুঁতে রাখা মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডের সদস্য নায়েক মো. আক্তার হোসেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার চীফ মিডিকেল অফিসার হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এ তার মৃত্যু ঘটে। তার মরদেহ ভোলার দৌলতখান উপজেলায় পৌঁছানোর পর জানাযা নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে। নায়েক আক্তার হোসেন কক্সবাজার জেলা ব্যাটালিয়ন ৩৪ বিজিবির একজন সাহসী সদস্য। তিনি শুক্রবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিটে ঢাকার সিএমএইচ-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। শনিবার সকাল আনুমানিক ১০টায় ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে তার মরদেহ ভোলার দৌলতখান উপজেলায় নিয়ে আসা হয়। জানাযার পর তাকে পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহত নায়েক আক্তার হোসেন ভোলার দৌলতখান পঁচনউখিয়া এলাকার বাসিন্দা। তাঁর বাবা অবসরপ্রাপ্ত হাবিলদার আব্দুল মান্নান মিয়া। বয়স হয়েছিল ৪৫ বছর। জীবদ্দশায় তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে থাকেন। অনেক গুণগ্রাহী ও প্রিয়জনের জন্য তিনি ছিলেন একজন সাহসী ও প্রেরণাদায়ক ব্যক্তি। অক্টোবরের ১২ তারিখে, পেয়ারাবুনিয়া সীমান্ত এলাকায় টহল দিতে গেলে মাইন বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন আক্তার। এরপর দ্রুত তাকে রামু সিএমএইচ-এ নিতে হয়, এবং প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরদিন হেলিকপ্টারযোগে ঢাকার সিএমএইচ-এ স্থানান্তর করা হয়। শুক্রবার সকালে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হওয়ায় তার মৃত্যু ঘটে। বিজিবি সূত্রে জানানো হয়েছে, নায়েক আক্তার হোসেনের মৃত্যুতে পুরো বাহিনীতে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এম খায়রুল আলম (পিএসসি) বলেন, “দেশের সীমান্ত রক্ষার জন্য আমরা একজন সাহসী সহযোদ্ধাকে হারালাম। তার আত্মত্যাগ আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার nguồn। তিনি দেশের জন্য এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবেন। তার আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করছি।” SHARES জাতীয় বিষয়: