সিঙ্গাপুরে সাপ্লাই চেইন ফিন্যান্স সম্মেলনে অংশ নিয়েছে আইসিসিবি প্রতিনিধিদল Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৩০, ২০২৫ ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স বাংলাদেশ (আইসিসিবি) সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত আইসিসি একাডেমি সাপ্লাই চেইন ফিন্যান্স সামিট ২০২৫-এ অংশগ্রহণের জন্য আটটি ব্যাংকের ২৯ জন ব্যাংকার এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)-এর দুজন প্রতিনিধি পাঠায়। এই সম্মেলনটি ২২ থেকে ২৩ অক্টোবর সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত হয়। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আইসিসিবি এই সম্মেলনের আয়োজনের সাথে আইসিসি একাডেমির একটি অংশীদার হিসেবে সহযোগিতা করেন। আইসিসিবির মহাসচিব আতাউর রহমান নেতৃত্ব দেন প্রতিনিধিদলের। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি)-এর মহাসচিব জন ডেন্টন। এতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৫০ জনেরও বেশি শীর্ষ ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ, নীতি নির্ধারক, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীরা অংশ নেন। সম্মেলনের মূল প্রতিপাদ্য ছিল: ‘আস্থা পুনর্গঠন, উদ্ভাবনকে ত্বরান্বিত করা: বিভক্ত বিশ্বে সাপ্লাই চেইন ফিন্যান্সের ভবিষ্যৎ।’ দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনে ভূরাজনৈতিক অস্থিরতা, ডিজিটাল প্রযুক্তির বিস্তার, স্থায়িত্ব ও স্বচ্ছতার চাহিদা বৃদ্ধির উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। বিভিন্ন অধিবেশনে আলোচনা হয়— – আস্থা পুনর্গঠন: জটিল সাপ্লাই চেইনে আস্থা ফেরানো ও সুশাসন নিশ্চিত করার উপায়। – অস্থির বাজারে তরলতা: কঠোর ঋণনীতির সময় তরলতা বদল, টেকসই অর্থায়নের বিষয়গুলো। – নতুন অর্থায়ন কাঠামো: বৈশ্বিক ব্যাংকগুলোর ঝুঁকি মূল্যায়ন, বিকল্প ঋণদাতা ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দ্রুত ও নমনীয় মূলধন সরবরাহ। – প্রযুক্তিগত রূপান্তর: ব্লকচেইন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই), ডিজিটাল ডকুমেন্টেশনসহ উদ্ভাবনগুলো কীভাবে দক্ষতা ও ঝুঁকি মডেল তৈরি করছে। – সবুজ অর্থায়ন এবং উদ্ভাবনের সমন্বয়। সম্মেলনের শেষ ভাগে ভবিষ্যতের বাণিজ্য ও অর্থায়ন পেশাজীবীদের দক্ষতা উন্নয়ন এবং ক্যারিয়ার বিস্তারের উপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। অতিরিক্তভাবে, ডিসেন্ট্রালাইজড ফিন্যান্স (ডিফাই)-এর ওপর আলোচনা হয়—এটি প্রচলিত অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য হুমকি নাকি নতুন সুযোগ—এমন বিতর্কও অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন শেষে আইসিসি একাডেমি বিশ্বমানের মানদণ্ড নির্ধারণ ও আধুনিক সাপ্লাই চেইনের জটিলতা মোকাবিলায় বৈশ্বিক জ্ঞান ও সম্পদ প্রদানের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করে। SHARES অর্থনীতি বিষয়: