সোনাইমুড়ীতে মাদরাসায় ঘুমের মধ্যে ছাত্রকে জবাই করে হত্যা, অভিযুক্ত ছাত্র আটক

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৯ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২৫

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে এক দুঃখজনক ঘটনা ঘটেছে যেখানে ঘুমের মধ্যে একটি মাদরাসা ছাত্রকে নির্মমভাবে জবাই করে হত্যা করা হয়। ঘটনাটির সাথে জড়িত থাকার সন্দেহে অভিযুক্ত ছাত্রকে পুলিশ দ্রুতই আটক করেছে।

সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মোরশেদ আলম এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাটরা আল মাদরাসাতুল ইসলামিয়া মাখফুনুল উলুম মাদরাসায় এই নারকীয় ঘটনা ঘটে।

নিহত ছাত্রের নাম মো. নাজিম উদ্দিন (১৩), তিনি চাষীরহাট ইউনিয়নের জাহানাবাদ গ্রামের ওবায়েদ উল্ল্যাহর ছেলে। অপরদিকে, আটক ছাত্রের নাম আবু ছায়েদ (১৬), তিনি ময়মনসিংহ জেলার টেঙ্গাপাড়া গ্রামের রুস্তম আলীর ছেলে।

প্রাথমিক তদন্ত ও স্থানীয় সূত্রের তথ্য অনুযায়ী, নাজিম ও ছায়েদ কোরআন হেফজের পরিমাণে হতেই পরিচিত। কিছুদিন আগে তাদের মধ্যে টুপি পরা নিয়ে ঝগড়া হয়, যা পরে মাদরাসার একজন শিক্ষক সমাধান করেন। তবে এই ঝগড়ার রেশ থাকায়, ছায়েদ ক্ষিপ্ত হন এবং সোনাইমুড়ী বাজার থেকে ৩শত টাকা দিয়ে একটি ধারালো ছুরি কিনে নেন। রোববার রাতে, আবাসিক ঘরে ১৫ ছাত্র ও একজন শিক্ষক থাকার মধ্যে, রাতের অন্ধকারে অন্য ছাত্রদের অগোচরে, ছায়েদ উঠে ঘুমের মধ্যে নাজিমকে জবাই করে। ওই সময় নাজিমের গলায় গগনবিদারী শব্দ শুনে, অন্যরা ঘুম থেকে জেগে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি বুঝতে পারেন।

পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দ্রুত কাজ শুরু করে। অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ছাত্রকে হেফাজত নেয়া হয় ও হত্যাকারী ছুরিটিও ضبط করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, এই হত্যাকাণ্ড টুপি পরা বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধের ফল।

নিহতের লাশ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই জঘন্য ঘটনাটি এলাকাজুড়ে শোক ও আতংক সৃষ্টি করেছে। পুলিশ আসামীর কঠোর বিচার ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে ভাবছে।