ফ Farook: স্বৈরাচারের দোসররা নির্বাচন ব্যাহত করার ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৭, ২০২৫

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক মন্তব্য করেছেন যে স্বৈরাচারী ও স্বৈরাচারী প্রেতাত্মারা এখনও নির্বাচনকে বিকৃতি করার জন্য হীন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। রবিবার, সংগঠনের নতুন কমিটির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন, জিয়ত ও ফাতেহ পাঠের পর তিনি এই বক্তব্য দেন।

জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, স্বৈরাচারী সরকার সম্পূর্ণভাবে বিএনপি-আন্দোলনের প্রকাশনা সংস্থাটিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বই প্রকাশের জন্য তখন কলকাতা পাঠানো হতো, কারণ প্রকাশকদের সাহস ছিল না সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে। পাঠ্যপুস্তকেও তারা (আওয়ামী লীগ) স্বৈরাচারীভাবে দলীয়করণ করার হীন প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছে, যা বিগত ১৬ বছর ধরে জনগণের চোখে পড়েছে।

তিনি নবনির্বাচিত এই সংগঠনের সদস্যদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অতীতের মতো নিজেদের প্রকাশনাকে নয়, দেশের স্বার্থে, মানুষের স্বার্থে, গণতন্ত্রের স্বার্থে কথা বলুন ও লিখুন। তাহলে যুগে যুগে স্বৈরাচারী অপশক্তির চাপ থেকে মুক্তি পেতে পারবেন। গণতন্ত্রের জন্য লেখনীকে শক্তিশালী করতে হলে, সকল প্রকাশককে সরকারের সাথে সহযোগিতা করতে হবে।

ফারুক আরো বলেন, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগে ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। তিনি প্রত্যাশা করে বলেন, নতুন কমিটি যেনো দেশবাসীর কাছে জানিয়ে দেয় যে, স্বৈরাচার এখন পালিয়ে গেছে, তবে তার প্রেতাত্মারা এখনও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের সবাইকে সচেতন থাকতে হবে ও গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে কার্যকরভাবে অংশগ্রহণ করতে হবে।

সংগঠনের নতুন সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদার বলেছেন, বিগত ১৬ বছরে বাংলাদেশের মুক্তচিন্তাকে দমন করার জন্য স্বৈরাচারী সরকার বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করেছে। পাঠ্যপুস্তকে ইতিহাস বিকৃতি, স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস অবলুপ্ত করা, কলকাতা থেকে আসা বই দ্বারা দেশের শিল্প ও সাহিত্যকে ধ্বংসের চেষ্টা অব্যাহত। তাই এইক্ষেত্রে জাতীয়তাবাদী প্রকাশকদের দায়িত্ব হলো বাংলা মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের সত্যকথা লেখনী মাধ্যমে তুলে ধরা। এই সংগঠনের সফলতা কামনা করেন তিনি।

এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত ছড়াকার আবু সালেহ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোশাররফ আহমেদ ঠাকুর, সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি কাজী জহুরুল ইসলাম বুলবুল, বিভিন্ন প্রকাশনী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, নেতৃবৃন্দ ও লেখকরা। সকলের উদ্দেশ্যে এই আয়োজনে মূল লক্ষ্য হলো অবহেলিত ইতিহাসের সত্যতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা, ব Freiheit of speech and expression and the fight against fascist oppression.