ফারুকের অভিযোগ: স্বৈরাচারী দোসররা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চালাচ্ছে

Staff Staff

Reporter

প্রকাশিত: ৩:৩২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৬, ২০২৫

বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক বলেছেন, স্বৈরাচারী স্বৈরশাসকদের দোসররা এখনও নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য নীলনকশা চালিয়ে যাচ্ছে। রবিবার তিনি বলেন, দেশের সত্যিকার ইতিহাস ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের সংগ্রামে দীর্ঘদিন ধরে অপপ্রচেষ্টা চালিয়ে আসছে স্বৈরাচারী শক্তিরা। বিএনপি প্রতিষ্ঠাকালীন সময়ের স্মৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অক্ষুন্ন রাখতে তিনি এই আহ্বান জানান।

ফারুক বলেন, স্বাধীনতার চেতনা ও গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করতে গিয়ে এখনো কিছু মানুষ স্বৈরাচারের প্রেতাত্মাদের মোকাবিলা করছে। বর্তমানের নির্বাচনের পরিস্থিতিতে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভোট হতে যাচ্ছে। তিনি মনে করেন, জনগণের ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ফের সত্যিকারের গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যাবে।

তিনি আরও বলেন, দেশ পরিচালনায় যারা অসত্য ও বিকৃত ইতিহাস প্রচার করছে, তাদের বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন হতে হবে। নব্য নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও স্বাভাবিক করতে সরকারের পাশাপাশি সকল প্রকাশক ও জনগণের সহযোগিতা জরুরি।

ফারুক বলেন, ‘স্বৈরাচারী শক্তি পালিয়েছে, কিন্তু তার প্রেতাত্মারা এখনও নির্বাচনে সমস্যা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের প্রত্যাশা, আগামী নির্বাচনে সবাই শান্তিপূর্ণভাবে অংশ নেবে, দেশের স্বার্থে সততার সঙ্গে ভোট দেবে।’ তিনি দেশবাসীর কাছে এই বার্তা দেন যে, সত্য ও সুন্দর গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের জন্য সবাই একত্রে কাজ করে যাবেন।

অন্তর্বর্তী সরকার ঘোষিত দিনক্ষণে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও স্বাধীনতা সংগ্রামের সঠিক ইতিহাস লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরতেই হবে এবং দেশের স্বাধিকার ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সরব হতে হবে।

প্রকাশনা সম্প্রদায়ের নতুন কমিটি এইভাবে দেশের সত্যিকার ইতিহাস ও গণতান্ত্রিক চেতনা রাখার জন্য কাজ করবে বলে আশা প্রকাশ করেন। ফারুক বলেন, এই নতুন নেতৃত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ও স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রাম আরও শক্তিশালী হবে।

সংগঠনের সভাপতি জাহাঙ্গীর শিকদার বলেন, গত ১৬ বছরে বাংলাদেশের মুক্তচিন্তা ও স্বাধীনতার ইতিহাস বিকৃত করা হয়েছে। ফ্যাসিবাদী শাসকরা পাঠ্যপুস্তক, শিল্প ও প্রকাশনা ক্ষেত্রকে ধ্বংসের মাধ্যমে দেশের সাংস্কৃতিক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করেছে। তিনি বলেন, এই ক্ষতি পূরণে এবং সত্যিকার ইতিহাসের পুনরুদ্ধারে নতুন প্রজন্মের জন্য কাজ করতে হবে। এই জন্য তারা নিরলসভাবে লেখনী ও প্রকাশনার মাধ্যমে সংগ্রাম চালিয়ে যাবেন।

উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট চিত্রকলা, কবিতা ও সংস্কৃতি ব্যক্তিত্বরা, যারা দেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বড় অবদান রেখে চলেছেন। সংগঠনের বিভিন্ন পদে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা, লেখক ও প্রকাশকগণ উপস্থিত ছিলেন, যারা একসাথে দেশের মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও গণতন্ত্রের লড়াইকে সামনে রেখে কাজ করে যাবেন।