বিএনপির নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ৩৬ প্রস্তাব Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ২:৩০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২৫ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করতে বিএনপি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে ৩৬ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান এ প্রস্তাবগুলো তুলে ধরেন। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, এই নির্বাচনী পরিবেশ উৎসবমুখর হবে এবং আইনে-শৃঙ্খলা নিয়ে যে শঙ্কা ছিল, তা কাটিয়ে উঠবে। তিনি বলেন, “বিগত তিন নির্বাচনে প্রহসন হয়েছে, এবং গত ১৫ বছরে যারা চরিত্র হনন করেছে, তারা বিগত ১৫ মাসে ঠিক হয়ে যাবে—এমনটা ভাবা ভুল। আমরা কমিশনকে সতর্ক করেছি, এ সব বিষয়ে সচেতন থাকতে।” ড. আবদুল মঈন খান নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধিদল প্রায় দেড় ঘণ্টা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে আরও ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ ও সাবেক ইসি সচিব ড. মোহাম্মদ জাকারিয়া। নির্দিষ্ট ৩৬ দফা প্রস্তাবের মূলポイントগুলো হলো: 1. অন্তর্বর্তী সরকার, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের শতভাগ নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করে এখনই নির্দৈলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মতো রূপে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। 2. নির্বাচিকে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করার জন্য মাঠ প্রশাসনকে ঢেলে সাজানো এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রশাসনের পুনর্বিন্যাস করাও জরুরি। 3. বিগত নির্বাচনে বিতর্কিত কর্মকর্তাদের চিহ্নিত করে দায়িত্ব থেকে অপসারণ ও এ ধরনের কর্মকর্তাদের নতুন নির্বাচনে নিয়োগ না করার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। 4. রিটার্নিং অফিসার নির্বাচনের জন্য যোগ্য ও সততার পরিচয়দানকারী বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তা বা অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে। 5. ভোটের সময় মোবাইল ও সামরিক বাহিনীসহ সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়মিত অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে। 6. নির্বাচনপ্রক্রিয়ায় অবিচল ও নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণের জন্য বিচার বিভাগ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে। 7. ভোটের সত্যতা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ভোট কেন্দ্রে গোপন কক্ষের বাইরে সিসিটিভি স্থাপন ও ভিডিও মানিটরিং ব্যবস্থা চালু করতে হবে। 8. প্রত্যেক জেলায় অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য আলাদা কেন্দ্র চালু করতে হবে, যেখানে অভিযোগ এলেই দ্রুত তা সমাধান করা হবে। 9. শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নির্বাচন ও শিক্ষামূলক কার্যক্রমের মধ্যে সংঘর্ষ না হয়, সেজন্য পরিষ্কার নির্দেশনা জারি ও অবিলম্বে কার্যকর করতে হবে। 10. ভোট দেওয়ার জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নির্বাচন কর্মকর্তাদের নৈতিকতা ও নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে হবে। দলীয় প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির প্রভাব এড়াতে সতর্ক থাকতে হবে। এই প্রস্তাবগুলো ছাড়াও আরও বেশ কিছু দফা উল্লেখ রয়েছে, যেগুলোর লক্ষ্য হলো নির্বাচনের অবাধ, সুষ্ঠু, ও নিরপেক্ষতা রক্ষা করা। যদিও ড. আবদুল মঈন খান পরে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তারা কোনো লিখিত প্রস্তাব দেননি, যদিও তার হাতে থাকা দলিলটি ‘সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে করণীয় প্রস্তাবসমূহ’ শীর্ষক একটি দলিল। এর মাধ্যমে বিএনপি প্রত্যাশা করে, এই প্রস্তাবনাগুলো অতি দ্রুত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়া হবে যেন নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্পন্ন হয়। SHARES জাতীয় বিষয়: