তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফেরাতে অ appeal শুনানি শুরু Staff Staff Reporter প্রকাশিত: ৯:২৫ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ২১, ২০২৫ নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আপিল শুনানির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত পুরো আপিল বেঞ্চ এই শুনানি শুরু করেন। আদালত কক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান রাষ্ট্রপক্ষে এবং আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া মোকাবিলা করেন। এর আগে, ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায়ের বিরুদ্ধে পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) আবেদন করার পর আপিলের অনুমোদন দেওয়া হয়। এরপর, বিভিন্ন পক্ষ তাঁরা এই আপিল করেন—যেমন ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ১৯৯৬ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনী আকারে অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল, যা দীর্ঘদিন ধরে বিতর্কের কেন্দ্রে। এ সংশোধনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দাখিল করেন। ২০০৪ সালের আগস্টে হাইকোর্ট এই রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে আইনসম্মত ঘোষণা করেন। এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ২০০৪ সালে উচ্চ আদালতের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আপিল করা হয়, যা ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ রায়ে সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে। এর ফলে, ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিলোপের জন্য পঞ্চদশ সংশোধনী চালু হয় এবং সেটি ৩ জুলাই গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। ২০২৪ সালে সরকার পরিবর্তনের পরে, বদিউল আলম মজুমদার ও অন্যান্য ব্যক্তিরা এই রায়ের পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন। এছাড়া, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর secrétaire général মিয়া গোলাম পরওয়ারও পৃথকভাবে এ বিষয়ে আবেদন করেন। সব মিলিয়ে, এই প্রক্রিয়ায় দেশজুড়ে রাজনৈতিক বিতর্ক এবং সংবিধানের স্থায়ী পরিবর্তনের সম্ভাবনা জোরদার হল। SHARES জাতীয় বিষয়: